সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন মাত্রা ছাড়া আকার নিতে শুরু করেছে। সেদিকে নজর রেখে উপকূলবর্তী ছোট ছোট দেশগুলির সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়তে তৎপর হয়েছে মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যেই মৈত্রীর হাত বাড়িয়ে ৩ দিনের সফরে ব্রুনেই চললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্রুনেইয়ের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরেও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
তেল সমৃদ্ধ দেশ ব্রুনেইয়ের উদ্দেশে মঙ্গলবার সকালেই রওনা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিহার আমন্ত্রণে এই প্রথম দেশটিতে সফর করছেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। রাজধানী দারুসেলামে সুলতানের সঙ্গে করবেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। বিশেষজ্ঞদের মতে, কূটনৈতিক দিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই ব্রুনেই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ব্রুনেই ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ফলে চিনের আগ্রাসী মানসিকতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে ছোট ছোট দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর, কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি ভারত এবং ব্রুনেই-এর মধ্যে আলোচনা হবে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শক্তি, মহাকাশ প্রযুক্তি সহায়তা-সহ নানা বিষয় নিয়ে।
[আরও পড়ুন: গরু পাচারকারী সন্দেহ, হরিয়ানায় দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে গুলি করে খুন গোরক্ষকদের!]
ব্রুনেই সফর সেরে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর যাবেন নরেন্দ্র মোদি। সিঙ্গাপুরের নতুন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়াং, ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রেসিডেন্ট থার্মান শন্মুগরত্নমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও সেখানকার শিল্পপতিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরে একাধিক চুক্তি সাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, উৎপাদন এবং সংযোগ ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি সাক্ষর হওয়ার কথা ভারত এবং সিঙ্গাপুরের মধ্যে। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন নিয়েও কথা হবে দুই দেশের।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার মিগ-২৯ বিমান, প্রাণরক্ষা পাইলটের]
এই সফর উপলক্ষে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ভারত ও ব্রুনেই কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০-তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই সফরে যাচ্ছেন তিনি। দুই দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করাই এই সফরের প্রধান লক্ষ্য। সুলতান হাজি হাসানাল বলকিহারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতি থার্মান শন্মুগরত্নম, প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়াং, মন্ত্রী লি সিয়েন লুং এবং ইমেরিটাস সিনিয়র মন্ত্রী গোহ চোক টং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কীভাবে দুই দেশের সঙ্গে আরও দৃঢ় করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেই নয়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে চিনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও সমান্তরাল ভাবে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে উৎসাহী সাউথ ব্লক। আসন্ন সফরের লক্ষ্য সেটাই।