টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বিভিন্ন জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়কে চলন্ত কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা লরি ছিনতাই চক্রের পর্দাফাঁস। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চারজনকে আটক করল বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা থানার পুলিশ। তারা সকলেই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা।
ঠিক কী হয়েছে? গত শনিবার রাতে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার কালিসেন এলাকায় জাতীয় সড়ক ধরে খড়গপুরের দিক থেকে একটি গাড়ির আসছিল। অভিযোগ, ওই গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলেই অভিনয় করে আরোহীরা। দুর্ঘটনা নিয়ে উত্তেজনার মাঝে জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা লরি ছিনতাই করে চার দুষ্কৃতী।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি লরি ছিনতাইের খবর পাওয়ামাত্রই জেলাজুড়ে নাকা তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ ছিনতাই হওয়া লরি এবং তার পিছু পিছু যাওয়া দুষ্কৃতীদের গাড়িটির কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ।দুর্গাপুর ব্যারেজে ওঠার মুখেই পুলিশ ওই দুটি গাড়ি আটক করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছিনতাই করা লরিটিকে কালিসেন থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে প্রথমে হেভির মোড় নিয়ে আসা হয়। এরপর লরিটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া-দুর্গাপুর ৯ নম্বর রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে বড়জোড়ায়।
[আরও পড়ুন: নবান্নের কাছে উলটে গেল ছাইবোঝাই কন্টেনার, চাপা পড়ে মৃত্যু পথচারীর]
পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে। পুলিশের জালে ধরা পড়া সুধীর প্যাটেল ধানবাদের বাসিন্দা। অভয় রাজ এবং কৃষ্ণ কুমার নামে দুই ধৃতের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। সোমনাথ বেহরা ওড়িশার বাসিন্দা। এই চার দুষ্কৃতী আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের সদস্য। তাদের কাছ থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে।
গ্রেপ্তারির পর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তারা এই রাজ্য সড়ক ছেড়ে ২ নম্বর নম্বর জাতীয় সড়ক ধরার চেষ্টাতেই ছিল। তবে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের তৎপরতায় রাজ্য সড়ক ছেড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরতে তারা বিফল হয়েছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, “এক ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস চেষ্টায় ছিনতাই হওয়া ওই লরিটির পিছু ধাওয়া করে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছিনতাই হওয়া লরি ও দুষ্কৃতীদের গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে।”