নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিধানসভা নির্বাচনের আগে সুপ্রিম রায়ে (Supreme Court) স্বস্তিতে প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh)। নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ডেবরার এই প্রার্থীকে রাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারবে না। মঙ্গলবার স্পষ্টভাবে এ কথা জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ। ভারতী ঘোষের অভিযোগ, রাজ্য সরকার নানাভাবে তাঁকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। এমনকী, তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হতে পারে। এই আশঙ্কায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভারতী। সে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে তিনি।
ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ৩৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, এই মামলাগুলির মূল উদ্দেশ্য তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করা। রাজনৈতিক প্রচার রুখতে রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারও করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতী। এর পরই স্বস্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন তাঁর আইনজীবী নীরজ কর। এদিন সেই আবেদনের শুনানি হয়।
[আরও পড়ুন : আর দু’ভাগে নয়, মঙ্গলবার থেকে আগের মতো একসঙ্গে শুরু রাজ্যসভা-লোকসভার অধিবেশন]
শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, ভারতীর বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। তবু তিনি আদালতে হাজিরা দেননি। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি অশোক ভূষণ জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে ভারতী ঘোষকে আগেই স্বস্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আবার সেই কথাই জানানো হচ্ছে। ১০ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারতীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। এমনকী, বিজেপি প্রার্থীকে আপাতত আদালতে হাজিরাও দিতে হবে না। স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম নির্দেশে স্বস্তিতে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ।
বিজেপির (BJP) প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এই ডেবরা কেন্দ্রই এখন রাজ্যের হেভিওয়েট কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি। কারণ, এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির হেভিওয়েট নেত্রী তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভারতী ঘোষ। শাসক শিবির অবশ্য আগেই এক প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) প্রার্থী করেছে। অর্থাৎ, পশ্চিম মেদিনীপুরের এই অখ্যাত আসনটিতে এবারে লড়াই রাজ্যের দুই দুঁদে প্রাক্তন পুলিশকর্তার।