সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরে নিকেশ হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর প্রধান গানি খোয়াজা। উপত্যকায় একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনটি।
[আরও পড়ুন: দিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ ওড়াল ইরান]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার উত্তর কাশ্মীরের সোপোর জেলায় সংঘর্ষে খতম হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গিনেতা খোয়াজা। জানা গিয়েছে, গতকাল তুজজর গ্রামে আল বদরের একটি ডেরার সন্ধান পান গোয়েন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে সেই খবর পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেনা ও পুলিশকর্তাদের কাছে। দেরি না করে দ্রুত অভিযানের নকশা তৈরি করা হয়। জঙ্গিদের ডেরা ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর যৌথ দল। নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে গুলি চলতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা হামলা চালান জওয়ানরা। বেশ কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় গানি খোয়াজার দেহ। উদ্ধার করা হয় বেশকিছু হাতিয়ারও। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের হানদ্বারার বাসিন্দা খোয়াজা। ২০০০ সালে পাকিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে। তারপর কয়েক বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০১৮ সালে ফের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দেয় সে। শুরুর দিকে হিজবুল মুজাহিদিনে থাকলেও সেখান থেকে লস্কর-ই-তইবায় চলে আসে সে। তারপর আল বদর সংগঠনে যোগ দেয় খোয়াজা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল আল বদর জঙ্গি সংগঠনের তরফে৷ সেখান থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সংগঠন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই আগামীতে কাশ্মীরের কন্ঠ হয়ে উঠবে বলে দাবি করা হয়৷ সেসময় ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে সংগঠন তৈরি করতে আল বদরকে আর্থিক সাহায্য করছে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদ৷ এর জন্য নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।