কলহার মুখোপাধ্যায়: গভীররাতে সল্টলেকে বিক্ষোভরত টেট উত্তীর্ণদের জোরপূর্বক সরিয়ে দিল বিধাননগর থানার পুলিশ। রাতেই কয়েকটি বাসে তুলে শিয়ালদহ স্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। মাঝ রাতে এহেন ঘটনার জেরে আরও বড় আন্দোলন সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
শুক্রবার আপার প্রাইমারির ১৪৩৩৯ পদে নিয়োগের দাবিতে পথে নামে টেট উর্ত্তীর্ণরা। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বিকাশভবন অভিযান। কিন্তু বাধা দেওয়া হয় তাঁদের। ফলে স্কুল শিক্ষা কমিশনের (SSC) দপ্তরের সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। সংগঠনের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ এবং সম্পাদক আনিসুর রহমান জানান, “গেজেট পদ্ধতি মেনে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না করলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।” উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গর প্রায় সবক’টি জেলা থেকে প্রার্থীরা চাকরির দাবিতে বিকাশভবন অভিযানে সামিল হন সল্টলেকে। তাঁদের কেউ বাসভাড়া করে কেউ অনেকটা পথ হেঁটে এসে সাধারণ যানবাহনে চাকরির দাবি জানাতে কলকাতায় পৌঁছন। নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন প্রত্যেকেই। আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল বিকাশ ভবনে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেন। কিন্তু বৈঠকে জট কাটেনি।
[আরও পড়ুন: যাত্রীদের না জানিয়েই সময়ের আগে ছুটছে ট্রেন, তুমুল বিক্ষোভ হাওড়ায়]
টেট উত্তীর্ণদের সমর্থন জানাতে অবস্থান মঞ্চে যান রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলগুলির নেতৃত্বরাও। চাকরিপ্রার্থীদের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করে দমন-পীড়নের নীতি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতারা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে আচমকাই অবস্থান মঞ্চে হানা দেয় পুলিশ। জোরপূর্বক উঠিয়ে দেওয়া হয় চাকরী প্রার্থীদের। যাতে পুনরায় তাঁরা অবস্থানে বসতে না পারে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁদের। গভীর রাতে পুলিশের এই নির্মম আচরণে ক্ষুদ্ধ অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীরা।