সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টিতে জলে ডুবেছে রাস্তা। কোথায় যে কী আছে, তা বোঝাই দায়! এই পরিস্থিতিতে স্কুটারে চেপে রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে বেজায় বিপদে পড়লেন সস্ত্রীক পুলিশকর্মী। নর্দমায় পড়ে যান দু’ জনে। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আলিগড়ের ঘটনায় নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রাক্তন আইএএস অফিসার সূর্য প্রতাপ সিং এই ঘটনাটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। ভাইরাল হওয়া মাত্র ২৮ সেকেন্ডের ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জলে ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়ে স্কুটারে চড়ে পুলিশকর্মী এবং তাঁর স্ত্রী যাচ্ছিলেন। গাড়ি পার্ক করতে রাস্তার কিছুটা ধারে যান তাঁরা। সেই সময় নর্দমায় ঢুকে যায় তাঁদের স্কুটার। বিপদে পড়েন পুলিশকর্মী এবং তাঁর স্ত্রী। ভিডিওটি শেয়ার করে ওই আধিকারিক উত্তরপ্রদেশ সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “উত্তরপ্রদেশের স্মার্ট সিটি আলিগড়। কাকে ধন্যবাদ দেব?”
[আরও পড়ুন: খেলতে যেতে হবে না, পড়তে বস! মায়ের বকুনির পরই অভিমানে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া]
দুর্ঘটনার কবলে পড়া পুলিশকর্মী দয়ানন্দ সিং জানান, “হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিল। তাই স্ত্রীকে স্কুটারে বসিয়ে যাচ্ছিলাম। নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছনোর পর স্কুটার পার্কিং করার কথা ভেবেছিলাম। তাই স্কুটার দাঁড় করাতে গিয়েছিলাম। বুঝতে পারিনি, সেখানে নর্দমা রয়েছে। স্কুটার নিয়ে এগনোর সঙ্গে সঙ্গে আমি ও স্ত্রী পড়ে যাই। সামান্য চোটাঘাত লেগেছে। তবে স্থানীয়দের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচেছি।” স্থানীয় হাসপাতালে সস্ত্রীক পুলিশকর্মীর চিকিৎসা করানো হয়। দু’জনেই আপাতত সুস্থ রয়েছেন।
জলমগ্ন রাস্তায় কেন খোলামুখ নর্দমা রইল, তা কীভাবে নজর এড়াল প্রশাসনের, স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় যোগীরাজ্যের নিকাশি ব্যবস্থার কঙ্কালসার দশার প্রমাণই মিলছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।