সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘটনা ১। কয়েক মাস আগে কলকাতার নিকাশি নালার জলে পোলিওর (Polio) জীবাণু পাওয়া যায়। কয়েকদিনের হইচই এবং নিকাশির মলের নমুনা পরীক্ষার পর জানা যায় ভাইরাসটি মৃত। ঘটনা-২। পোলিওমুক্ত ভারতের লক্ষ্যে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত সব শিশুকে পালস পোলিও টিকা (Polio vaccine) দেওয়ার অভিযান চলছে। কর্মসূচিকে আরও সুসংহত করতে দেড় বছর বয়স পর্যন্ত সাতটি ডোজ দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি ইনজেকশন, বাকি পাঁচটি ওরাল।
কিন্তু আফ্রিকা বা অন্য উন্নয়নশীল দেশে পোলিও প্রাদুর্ভাবে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাই পোলিও বিষ উপড়ে ফেলতে পোলিও ভ্যাকসিনের তৃতীয় ইনজেকশন ডোজ চালু করবে আইসিএমআর। সব রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা শেষ। এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আইসিএমআরের সূত্র বলছে, ১ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে তৃতীয় ইনজেকশন ডোজ চালু হবে।
[আরও পড়ুন: ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ, ১১ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েও পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর]
সম্প্রতি পোলিও দূরীকরণের লক্ষ্যে গঠিত বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা কমিটি বৈঠকে বসে স্থির করেছে, দেড় ও সাড়ে তিন মাসের পর ন’মাস বয়সেও ফের পোলিও ইনজেকশন ভ্যাকসিন দিতে হবে দেশের সব শিশুকে। যেহেতু ওই সময়ে শিশুর ডান হাতে হাম ও রুবেলার টিকা দেওয়া হয়, তাই অতিরিক্ত এই পোলিওর টিকা দেওয়া হবে বাঁ হাতের উপরের দিকের ত্বকের নিচে।
আগামী ১ জানুয়ারির পর ন’মাস থেকে এক বছর বয়সি সব শিশুকেই দেওয়া হবে তৃতীয় ডোজ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দোলুই বলেন, ‘‘এর চেয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ আর হতে পারে না। কারণ পোলিও যতদিন না দুনিয়া থেকে নির্মূল হচ্ছে, ততদিন চিন্তাটা রয়েই যায়।’’
প্রসঙ্গত, গত জুনেই কলকাতায় মিলেছিল পোলিওর (Polio Virus) জীবাণু। ১১ বছর পর নতুন করে পোলিওর জীবাণু মেলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল স্বাস্থ্যদপ্তর। শিশুদের উপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালে হাওড়ার বাসিন্দা এক বালিকার শরীরে শেষবার পোলিওর জীবাণু পাওয়া যায়। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ পোলিও মুক্ত দেশের স্বীকৃতি পায় ভারত (India)।