বিক্রম রায়, কোচবিহার: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলা, গুলি-বোমা চলার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার। এবারের ঘটনাস্থল তুফানগঞ্জ (Tufanganj)। রবিবার এমএলএ কাপ টুর্নামেন্ট ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়। এদিন সকালেই দেখা যায়, তুফানগঞ্জের ঘোগার কুঠি এলাকায় তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া পোস্টার। পালটা নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) মিহির গোস্বামীকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। রাস্তায় বসে অবরোধ শুরু করেন। এনিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ।
শনিবার দিনহাটায় নিশীথ প্রামাণিকের মিছিল চলাকালীন তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। চলে গুলি, বোমা। তাঁর কনভয়ের একটি গাড়ির কাচ ভাঙে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রবিবার এর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। একদিকে সেই কর্মসূচি পালন, অন্যদিকে তুফানগঞ্জে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর উদ্যোগে এমএলএ কাপের (MLA Cup) আয়োজন। আর সেখানে হকি টুর্নামেন্টের আগেই রাজনৈতিক অশান্তি বাঁধল।
[আরও পড়ুন: যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, রণক্ষেত্র সিউড়ি]
তৃণমূলের (TMC) কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে পার্টি অফিস তছনছ করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই পার্টি অফিসের অদূরেই হকি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের সভাপতি মনোজ বর্মা বলেন, ”আমরা সকালে এসে দেখি, আমাদের পার্টি অফিসে যেসব ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন ছিল, সেসব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসব করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ এসে সব দেখে গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: সংস্কৃতির পীঠস্থান বাংলা! ‘মন কি বাত’-এ ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রশংসা মোদির]
তৃণমূল কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী (Mihir Goswami)। তাঁর কথায়, ”এখানে গতকাল রাত তিনটে পর্যন্ত পুলিশ ছিল। কড়া পাহারা ছিল। এমন কোনও ঘটনা ঘটেইনি। যদি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে তৃণমূলই নিজেদের ফেস্টুন টাঙিয়ে তা ছিঁড়েছে। এখানে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই। একটা এমএলএ কাপ খেলার আয়োজন করা হয়েছে। সবাই খেলতে আসবে দলমত নির্বিশেষে। আর খেলোয়াড়দের ভয় দেখানোর জন্য তৃণমূল এসব ঘটাচ্ছে।”