সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ার আগে থেকেই রাজনীতি শুরু হয়েছিল। জোড়া ভ্যাকসিন (Vaccine) অনুমোদন পাওয়ার দিনও তা অব্যাহত রইল। ‘স্বদেশি’ টিকা কোভ্যাক্সিন চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে কংগ্রেসের দাবি, ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়া উচিৎ হয়নি।
রবিবার দেশে জোড়া করোনা টিকা ছাড়পত্র পেয়েছে। একটি সেরামের কোভিশিল্ড এবং অপরটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। কিন্তু এই স্বদেশি টিকার এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়নি বলে দাবি কংগ্রেসের। তার আগেই এই টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে মনে করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, “কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এখনও হয়নি। তার আগেই ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হল। অযথা তাড়াহুড়ো করল সরকার। এই পদক্ষেপ বিপজ্জনক হতে পারে।”
[আরও পড়ুন: ‘আত্মনির্ভরতায় সাফল্য’, কোভিড ভ্যাকসিন ছাড়পত্রের পর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর]
কংগ্রেস নেতা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে ট্যাগ করে লেখেন, “ট্রায়াল সম্পূর্ণ হওয়ার আগে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রতিষেধক ব্যবহার শুরু করা যেতেই পারে।” যদিও কোভ্যাক্সিনকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকরী বলে দাবি করেছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এদিকে সমাজবাদী দলের নেতা অখিলেশ যাদবও কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, এটা মানুষের জীবন-মরণের বিষয়। অযথা দেখনদারি না করে টিকাকরণ উপযুক্ত ব্যবস্থা করা দরকার ছিল।”
[আরও পড়ুন: বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে সিলমোহর DCGI-এর, ভারতে ছাড়পত্র পেয়ে গেল করোনার দুটি টিকা]
উলটো দিকে দেশীয় প্রযুক্তি তৈরি টিকা ছাড়পত্র পাওয়ায় আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ছাড়পত্র পাওয়া দু’টি টিকাই ভারতে তৈরি। তাই প্রত্যেক ভারতবাসীর গর্বিত হওয়া উচিত। আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যেতে আমাদের বিজ্ঞানীরা যে কতটা আগ্রহী, এটাই তার প্রমাণ দিল।” কিন্তু অনুমোদন পাওয়ার দিনই দেশীয় এই টিকার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল বিরোধীরা।