সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুমতি ছাড়াই ৩৪ জন মহিলার নগ্নতা ও যৌনতার ভিডিও প্রকাশ করার অভিযোগ উঠল পর্ন ওয়েবসাইট ‘পর্নহাব’-এর (Pornhub) বিরুদ্ধে। ক্যালিফোর্নিয়ার (California) এক আদালতে মামলা দায়ের করেছেন অভিযোগকারিণীরা। নিরাপত্তার কারণে তাঁরা কেউই তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করেননি। এই ৩৪ জনের মধ্যে ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। ১৪ জন যৌন অপরাধের শিকার। অভিযোগ, এই সব ভিডিও সাইটে আপলোড করে তা থেকে মুনাফা লুটেছে পর্নহাব।
অভিযোগকারিণীদের কেউ আমেরিকা, কেউ ব্রিটেন কিংবা কানাডা, কলম্বিয়া বা থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। ১৭৯ পাতার অভিযোগপত্রে অভিযোগ আনা হয়েছে পর্ন ওয়েবসাইটটির মূল সংস্থা ‘মাইন্ডগিক’-এর বিরুদ্ধে। সেখানে ওই সংস্থাকে মানুষ পাচারকারী অপরাধ সিন্ডিকেট হিসেবেই দেখানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পাচার, শিশু পর্নোগ্রাফি, কপিরাইট ভঙ্গ, হ্যাকিং, ব্ল্যাকমেল ইত্যাদির মতো ঘৃণ্য অপরাধের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার কামানোর গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘‘এটা ধর্ষণ ও শিশুদের যৌন হেনস্তার বিষয়, পর্নোগ্রাফির নয়।’’
[আরও পড়ুন: রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বাইডেন-পুতিন, কূটনৈতিক সৌজন্যের মাঝেও মিলল উত্তেজনার আভাস]
অভিযোগপত্রে ইজাবেলা (নাম পরিবর্তিত) নামের এক ১৭ বছরের কিশোরী জানিয়েছে, সে হাইস্কুলের পড়ার সময় তার প্রেমিক তাকে একটি নগ্ন ভিডিও পাঠাতে বলেছিল। পরে সেই ভিডিওই ওই তরুণ পর্নহাবে তুলে দেয়। একই ভাবে মিচেল নামে আরও এক নাম গোপন রাখা অভিযাগকারিণীর অভিযোগ, তার ১৫ বছর বয়সে এক ব্যক্তি তাকে ব্ল্যাকমেল করে জোর করে যৌনতায় বাধ্য করেছিল।
পর্নহাব অবশ্য জানিয়েছে নারী ও শিশু পাচারের অভিযোগ মিথ্যে ও একেবারেই ভিত্তিহীন। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, যৌন হেনস্তার বিষয়টি তারা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে। সমস্ত অভিযোগ তারা খতিয়ে দেখবে। অনুমতি না নিয়ে ভিডিও আপলোডটির বিষয়েও তারা অনুসন্ধান করবে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। পাশাপাশি যে আইনজীবী অভিযোগটি দায়ের করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে পর্নহাব তথা মাইন্ডগিক।