সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’ মঙ্গলবার অমিত শাহ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সমস্ত রাজনৈতিক দল আমাদের শহরে শান্তি ফেরানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করবে।’
গত শনিবার রাত থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। আর সোমবার ব্রহ্মপুরী, গোকুলপুরী এলাকায় দফায় দফায় হওয়া সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত এক পুলিশকর্মী-সহ মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। আর মঙ্গলবার সকাল নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কর্দমপুরী ও ভজনচক পুরা এলাকা। সেখানে গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনা নামানো হবে কি না তা জানতে চান সাংবাদিকরা।
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তার কড়াকড়িতে মেলানিয়ার স্কুল সফরে ‘নো এন্ট্রি’, মুখ ভার বহু সংবাদমাধ্যমের ]
এর জবাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি তার দরকার পরে তখন আশা করি সেনার সাহায্য পাব। কিন্তু, এখন পুলিশই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। প্রয়োজন পড়লে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশকর্মী উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হবে বলেও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের কাছেও শান্তি বজায় রাখার আবেদন রাখছি।’
আপ প্রধানের সুরেই দিল্লিতে শান্তি ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করেন দিল্লির বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। বলেন, কেউ যদি উসকানিমূলক বক্তব্য রাখে তাহলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। সে কপিল মিশ্র হোক আর অন্য কেউ হোক। যেকোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত থাকুক ছাড় পাবে না।’
[আরও পড়ুন: ‘মাড প্যাকের কথা জানতে চাইছিলেন মেলানিয়া’, গোপন কথা ফাঁস করলেন তাজমহলের গাইড ]
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও এক সাংসদ যখন এই কথা বলছেন তখন হিংসা ছড়ানোর জন্য সোজাসুজি কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন হায়দারবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে AIMIM প্রধান বলেন, ‘হিংসার এই ঘটনা রাষ্ট্রের মদতেই হচ্ছে। যদি একজন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সহকারি পুলিশ কমিশনারকে হুমকি দিয়ে উসকানি ছড়াতে পারে। তাহলে তা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের মদতে হয়েছে বলে মনে করা হয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা আটকানোর জন্য কেন সক্রিয় হচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার? ট্রাম্পের সফরের সময় হিংসা ছড়ানোর খবর থাকলেও কেনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? এটা কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়, তা সত্ত্বেও হিংসাকে সমর্থন করছে সরকার। আমরা ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখতে পাচ্ছি চার যুবককে বন্দে মাতরম স্লোগান দিতে বাধ্য করছে পুলিশ। এসব দেখে আমাদের মনে হচ্ছে এটা ওরা ২০০২ সাল থেকে শিখেছে।’
The post দিল্লির হিংসা রুখতে প্রয়োজনে নামানো হবে সেনা, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর ইঙ্গিত কেজরির appeared first on Sangbad Pratidin.