shono
Advertisement

Breaking News

‘টিএমসি সেটিং মাস্টার’, কৈলাস বিরোধী পোস্টারে ছয়লাপ রাজ্য বিজেপি দপ্তর

একুশের ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই দলের অন্দরে কৈলাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে।
Posted: 10:59 AM Jun 18, 2021Updated: 11:31 AM Jun 18, 2021

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির (BJP) অন্দরের ফাটল ক্রমশই চওড়া হচ্ছে। দুর্যোগের রাতে রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর মুরলিধর সেন লেনের বাইরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। তাতে তাঁকে ‘TMC Setting Master’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। এক, দুটি নয় – রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরের বাইরে এই পোস্টারে ছয়লাপ। একইরকম পোস্টার দেখা গেল হেস্টিংসের কার্যালয়ে এবং বিমানবন্দরের কাছেও দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভমিশ্রিত এসব পোস্টার দেখা গেল। যা থেকে আরও স্পষ্ট, একুশের ভোটে বঙ্গে বিজেপির ভরাডুবির পর থেকে কৈলাস দলের অন্দরেই আরও চক্ষুশূল হয়ে উঠছেন।

Advertisement

মুকুল রায়ের সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র (Kailash Vijayvargiya) ‘সুসম্পর্ক’ গেরুয়া শিবিরের চেনা ছবি ছিল। কিন্তু সম্প্রতি মুকুল রায় (Mukul Roy)দলবদল করে তৃণমূলে ফেরার পর থেকে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে তো বিজেপির রাজ্য নেতা তথাগত রায় টুইটে কটাক্ষ করে ‘ভোদা বিড়াল’ নামে ডেকেই ফেললেন। দেখা গেল তাতে লেখা, “মমতা পিসি এই ভোদা বিড়ালটাকে তৃণমূলে নিয়ে নাও, মালটা বন্ধুকে না পেয়ে হতাশ হতে পারে। সারাদিন মুকুলের সাথে ফিস/ফিস গুজ/গুজ করত।” আসলে মুকুল-কৈলাসের ছবি পোস্ট করে এই টুইটটি করেছিলেন বিজেপি কর্মী দিবাকর দেবনাথ। তা রিটুইট করেছেন তথাগত রায়। লিখেছেন, “দলের প্রতি বিশ্বস্ত এক বিজেপি কর্মীর টুইটটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করছি। এতে আমি কিছু যোগও করব না, আর কিছু বাদও দেব না।”

[আরও পড়ুন: আজও বিধানসভায় জমা পড়ল না মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজের চিঠি]

এবার মুকুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কৈলাসকে বিঁধতে ছাড়লেন না অন্যরাও। হেস্টিংস বা মুরলিধর সেন লেনের বাইরে যেসব পোস্টার পড়েছে তাতে দেখা গেল, মুকুল-কৈলাসের আলিঙ্গনরত একটি ছবি। তার নিচে লেখা – ‘TMC Setting Master’। অর্থাৎ বঙ্গে আশানুরূপ ফলাফল না হওয়ার জন্য রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব কার্যত কেন্দ্রীয় নেতাদেরই দায়ী করছেন। নিশানায় অন্যতম কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত, তিনি বেশ কয়েক বছর ধরেই এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। বাংলায় সংগঠনের প্রতিটি খুঁটিনাটি জেনে সেইমতো ব্লু-প্রিন্ট ছকে তবেই ভোটযুদ্ধে এগোনো উচিৎ তাঁর। কিন্তু ভোটের ফলাফল বলছে, সেই কাজে তিনি ব্যর্থ। তাই তাঁর অপসারণের দাবিও উঠেছে। এবার বিজেপি রাজ্য দপ্তরের তরফেও সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটল।

[আরও পড়ুন: গণনায় কারচুপির অভিযোগ, নন্দীগ্রামে ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে মমতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement