সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীকে তুলোধোনা করলেন তিনি। বিজেপি নেত্রীর কটাক্ষ, “হারের ভয়ে মাথা কাজ করছে না ওঁনার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)।”
বাংলায় হিন্দুরাজ প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও প্রত্যয়ী বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। তাঁর কথায়, “এটা পাকিস্তান নয়, হিন্দুস্তান। হিন্দুরা ভারতকে রক্ষা করতে তৈরি। ওরাই মমতাকে জবাব দেবেন। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতবে। বাংলায় হিন্দুরাজ প্রতিষ্ঠা হবে।” তিনি আরও বলেন, “মমতার রাজত্বকাল শেষ হতে চলেছে। এটা উনি বুঝতে পেরে গিয়েছেন। তাই ওঁনার মাথা কাজ করছে না।”
[আরও পড়ুন : মালয়েশিয়া থেকে ভারতে নাশকতার ছক ফাঁস করল ‘র’, বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে জারি হাই অ্যালার্ট]
শুধু বাংলায় বিজেপি রাজ নয়, ধর্মশাস্ত্রের উদাহরণ টেনে শূদ্রদের নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন ভোপালের লোকসভার সাংসদ প্রজ্ঞা (Pragya Thakur)। তাঁর কথায়, “ক্ষত্রিয়দের ক্ষত্রিয় বললে রেগে যান না, বৈশ্যদেরও সেই নামে ডাকলে অপমানিত বোধ করেন না। অথচ শূদ্রদের শূদ্র বললে অপমানিত হন। কেন?” প্রশ্নের উত্তরও তিনি দেন। বলেন, “শূদ্ররা জানেন না। তাই তাঁরা রেগে যান।”
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন প্রজ্ঞা। এবার তাঁর নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিনের বাংলা সফরে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন জে পি নাড্ডা। ডায়মণ্ড হারবারে যাওয়ার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা হয়। এই ঘটনায় সরগরম বাংলা ও দিল্লির রাজনীতি। এবার সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ।
[আরও পড়ুন : ব্যবসা ও কর্মী নিরাপত্তার স্বার্থে বজরং দলের প্রতি নরম ফেসবুক! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ]
প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। ২০০৮ সালের মালেগাঁওয়ে একটি মোটর বাইকে রাখা বোমা বিস্ফোরণ হওয়ার ফলে ৬ জনের মৃত্যু হয়। জখম হয়েছিলেন আরও ১০০ জন। তারপর থেকে ১২ বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত এই মামলার রায় ঘোষণা হয়নি।