সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি, মুম্বইয়ের পর এবার বিহার (Bihar)। পাটনায় গণধর্ষণের (Gangrape) শিকার এক অন্তঃসত্ত্বা। ধর্ষণ করে রেললাইনের উপর তাকে ফেলে চম্পট দিল অভিযুক্তরা। বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে নৈশভোজের পর বাড়ির সামনে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় পাড়ার দুই যুবক তাঁকে উত্যক্ত করছিল বলে অভিযোগ। এর পরই জোর করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় দুই যুবক। আরও এক বন্ধুকে ডেকে নেয় অভিযুক্তরা। এর পর একটি পরিত্যক্ত মাঠে নিয়ে গিয়ে তার উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, টুইটে মমতার প্রশংসা লুইজিনহোর]
শারীরিক নির্যাতনে জ্ঞান হারান ওই মহিলা। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশে মহিলার দেহটি পাটনা জংশনের রেললাইনে ফেলে দিয়ে পালায় তাঁরা। বরাতজোরে ট্রেন আসার আগেই জ্ঞান ফেরে তাঁর। যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন জিআরপি কর্মীরা। তাঁকে উদ্ধার করে মহিলা ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ফাঁড়ির প্রধান কিশোরী সহচরী জানিয়েছেন, নির্যাতিতা গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তবে তাঁর গোপন জবানবন্দি ইতিমধ্যে রেকর্ড করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু করেছে বিহার পুলিশ। গ্রেপ্তারও হয়েছে দুই অভিযুক্ত-অঙ্কিত ও বিশাল। আরেক অভিযুক্তর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, সাকিনাকার খ্যায়রানি এলাকায় ধর্ষণের শিকার হন ৩৪ বছরের মহিলা। তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৩৩ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েন নির্যাতিতা। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দেখা যায়, টেম্পোর ভিতরে মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: কিষাণ মোর্চার ডাকা ‘ভারত বন্ধে’ মর্মান্তিক ঘটনা, দিল্লিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষকের মৃত্যু]