সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছিল ছাত্র আন্দোলন। হল গণ অভ্যুত্থান। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারী ছাত্রদের দাবি মেনে সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস। এদিকে ওপার বাংলার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর একের পর এক হামলার অভিযোগ উঠছে। এতেই মন কাঁদছে প্রীতি জিনটার। 'X' হ্যান্ডেলে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন অভিনেত্রী।
শনিবার নিজের ভেরিফায়েড 'X' হ্যান্ডেলে প্রীতি 'সেভ বাংলাদেশি হিন্দুজ' হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখেন, "বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার খবর শুনে মন ভেঙে গিয়েছে, বিধ্বস্ত লাগছে। মানুষের মৃত্যু হয়েছে, পরিবার ছারখার হয়ে গিয়েছে, মহিলাদের অধিকার লঙ্ঘন, উপাসনার স্থানে ভাঙচুর হয়েছে, আগুন লাগানো হয়েছে। আশা করছি 'নতুন সরকার' হিংসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে এই মানুষগুলোকে রক্ষা করবে। যাঁরা এই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন আমি মন থেকে তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি।"
[আরও পড়ুন: ‘হাসপাতালেও মেয়েরা নিরাপদ নয়, যাব কোথায়?’, আর জি কর ইস্যুতে প্রতিবাদী প্রশ্ন স্বস্তিকার]
এদিকে খবর, বিক্ষোভ-আন্দোলন জারি থাকলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ৬৩৯ থানার মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ৩৬১টি থানায় কাজ শুরু হয়েছে। থানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকার ২৯টি থানা-সহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় ইতিমধ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত থানাগুলোতে কাজ শুরু হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ঢাকার রমনা, কলাবাগান, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কোতোয়ালি, চকবাজার, সূত্রাপুর, ডেমরা, গেন্ডারিয়া, মতিঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, শেরেবাংলা নগর, হাতিরঝিল, শাহ আলী, কাফরুল, ভাষানটেক, দারুসসালাম, রূপনগর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান ও বিমানবন্দর থানায় কাজ শুরু হয়েছে। এই থানাগুলোতে নতুন করে আর হামলার ঘটনা ঘটেনি।