রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোটে করানোয় বিশেষ সম্মতি না থাকলেও উপনির্বাচন হবে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করতে চায় বিজেপি (BJP)। শুক্রবার সেরকমই ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, “যে কোনও কেন্দ্রে যে কোনও সময়ে নির্বাচন হলে রাজনৈতিক দল হিসাবে আমরা তৈরি আছি।”
প্রথম থেকেই উপনির্বাচনের আগে পুরভোট করানোর দাবি জানিয়ে আসছে বিজেপি। এমনকী কোভিড পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন করা হোক তা চায় না বলেও জানিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল অবিলম্বে উপনির্বাচন করানোর দাবি করেছেন। একাধিকবার কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছেন। সে প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) প্রশ্ন করেন, “করোনা বাড়ছে। স্কুল-রেল বন্ধ। ভোট কেন হবে?”। বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যদি নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে বিজেপি সবসময়ই ভোটের জন্য তৈরি।
[আরও পড়ুন: করোনা কাঁটা উপড়ে আগামী সপ্তাহে খুলছে রাজ্যের সব গ্রন্থাগার, অপেক্ষায় বইপ্রেমীরা]
দলীয় সূত্রে খবর, উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে রাজ্য বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পুজোর আগেই উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতে পারে সেটা ধরেই প্রস্তুতি নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। প্রার্থী ও অন্যান্য সাংগঠনিক বিষয়ে তৈরি হতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ এসেছে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। জানা গিয়েছে, এবার সাতটি কেন্দ্রে যোগ্য প্রার্থীদেরই চাইছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। দু-একটি ছাড়া অন্য সব আসনেই নতুন মুখ আনতে চাইছে দল। বিধানসভা ভোটের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে যোগ্যদেরকেই বেছে নিতে চাইছে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রাজ্য শাখার তরফে ইতিমধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করার কথা বলা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রার্থী বাছাই নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কোনও মতভেদ চাইছে না অনেকেই। সব মিলিয়ে উপনির্বাচনে এবার আগে থেকেই কৌশলী গেরুয়া শিবির। এদিকে, পুরভোট না হওয়া নিয়ে এদিন রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপবাবুর প্রশ্ন, জাতীয় নির্বাচন কমিশন সারা দেশেই সঠিকভাবে কাজ করছে। কিন্তু এ রাজ্যে পুরভোট হচ্ছে না। মানুষ পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত কেন? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী? সেই প্রশ্নও করেছেন তিনি।