সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) মনে করেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
[আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসে মোদি-বাইডেন বৈঠক, ‘নতুন অধ্যায় শুরু’, মন্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের]
শুক্রবার আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। করোনা মহামারী, বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও কোয়াড-সহ একাধিক বিষয়ে ওভাল অফিসে প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। আলোচনায় বাইডেন বলেন, “নতুন অধ্যায় শুরু করলাম। ভারত-আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই গণতন্ত্রের বন্ধুত্ব। এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ করোনা মহামারী। যতদিন যাবে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হবে।” দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্কের সূচনা নিয়ে বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে আফগানিস্তান ইস্যু-সহ আমাদের কাজ প্রশংসিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন খুব স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি মনে করেন নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে এক মাসের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল ভারত। ২০২১-২২ সালে প্রথমবারের জন্য এই দায়িত্ব নেয় ভারত। ফ্রান্সের হাত থেকে ১ আগস্ট ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তার পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতের কার্যকাল শুরু হয় ২ আগস্ট থেকে। তারপরই টি এস তিরুমূর্তি জানিয়েছিলেন যে ভারত কখনই দায়িত্বপালনে ভয় পায় না। বরাবারই সন্ত্রাসবাদ-সহ একাধিক ইস্যুতে সক্রিয় ভারত। প্রথম থেকেই দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী আগ্রাধিকার বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করা হয়েছে। যেহেতু ভারত এক মাসের জন্য এই দায়িত্ব গ্রহণ করছে সেই কারণে বাকি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সংযম আর আলোচনার মাধ্যমেই একাধিক সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজবে বলেও ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চিনকে নজরে রেখে শুক্রবার মধ্যরাতে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসে কোয়াড গোষ্ঠী। ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া মিলে তৈরি এই চতুর্দেশীয় অক্ষ আলোচনায় উঠে আসে চিন, করোনা থেকে শুরু করে আফগানিস্তান (Afghanistan) ইস্যু। কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির মতো বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এহেন সময়ে ভারতের সদস্যপদের পক্ষে বাইডেনের সওয়াল করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।