সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খানিকটা ছন্দপতনই বটে। বিরোধীদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে শরদ পওয়ারকে (Sharad Pawar) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও শেষপর্যন্ত তিনি রাজি হননি। মঙ্গলবার মমতার সঙ্গে একান্ত বৈঠকেই এনসিপি সুপ্রিমো জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি প্রার্থী হতে চান না। আরও কিছুদিন সক্রিয় রাজনীতি চালিয়ে যেতে চান। বুধবারের বৈঠকে সব বিরোধী দল তাঁকে প্রার্থী হওয়ার জন্য চেপে ধরলেও সেই একই কথা বলেন পওয়ার।
বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে স্বীকারও করে নিয়েছেন, পওয়ারকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিলেও তিনি রাজি হননি। তবে বিরোধীরা যে ঐক্যবদ্ধভাবেই একজনকে প্রার্থী করবে সে বিষয়ে এদিন ঐক্যমতে পৌঁছেছে বৈঠকে উপস্থিত ১৬টি বিরোধী দলই। প্রশ্ন হচ্ছে, পওয়ার রাজি না হলে সেই ঐক্যবদ্ধ প্রার্থীটি কে হবেন? ভেসে আসছে একাধিক নাম।
[আরও পড়ুন: ‘কুকুরের মতো মরবেন মোদি’, কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক, দায়ের FIR]
পওয়ারের বিকল্প হিসাবে প্রথম যে নামটি ভেসে আসছে সেটি হল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। সূত্রের দাবি, বিরোধীদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর (Gopalkrishna Gandhi) নামটি প্রস্তাব করেন। গান্ধী পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। একাধিক দেশে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছেন। তাঁর আরও একটি পরিচয় হল তিনি গান্ধীজির দৌহিত্র। কংগ্রেস এবং তৃণমূল দুই শিবিরের সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক ভাল। এর আগে ২০১৭ সালে উপরাষ্ট্রপতি পদেও লড়াই করেছেন তিনি। যদিও রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্য, এখনই এ নিয়ে কিছু বলার সময় আসেনি।
বিরোধীদের প্রার্থী হিসাবে আরেকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি হলেন ফারুখ আবদুল্লাহ। সূত্রের দাবি কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও মমতার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। এদিনের বৈঠকে তাঁর নামও প্রস্তাব করেন মমতা। কিন্তু ফারুখের ছেলে ওমর আবদুল্লাহই রাষ্ট্রপতি পদে কারও নাম নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হননি।
[আরও পড়ুন: পবিত্র শহরে মদ বিক্রি বন্ধের দাবিতে দোকানে গোবর ছুঁড়লেন উমা ভারতী! ভিডিও ভাইরাল]
বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হিসাবে তৃতীয় আরেকজনের নাম ভাসছে। তিনি হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া (HD Deve Gowda)। তিনি নিজেও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। যদিও তাঁর নাম নিয়ে এদিন আলোচনা হয়নি বলেই শোনা যাচ্ছে। এদিনের বৈঠকে একটা জিনিস ঠিক হয়ে গিয়েছে। সেটা হল, বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রার্থী দেবে। সেক্ষেত্রে প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা পরে হবে। ২১ জুন তারিখটিকে প্রার্থী ঘোষণার ডেডলাইন হিসাবে ঠিক করে ফেলেছে। সেদিন মুম্বইয়ে ফের বৈঠকে বসছে বিরোধী শিবির।