সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুদুচেরিতে আস্থা ভোটে হারের পর ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। কিন্তু সংখ্যার জটিল সমীকরণে ফেঁসে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানালেন না বিরোধীরাও। আর তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে চলেছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সুপারিশের পর তাতে সম্মতিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
আর মাত্র কয়েকদিন অপেক্ষা। তারপরই বাংলা-সহ চার রাজ্য এবং পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ভোট ঘোষণার আগেই সম্প্রতি ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-ডিএমকে জোট সরকার থেকে একের পর এক বিধায়ক ইস্তফা দিতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার আস্থা ভোট হয় পুদুচেরি বিধানসভায়। কিন্তু তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হন ভি নারায়ণস্বামী।
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে মাস্টারস্ট্রোক! পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
এর আগে ২০১৬ নির্বাচনে ৩০ আসনের পুদুচেরি বিধানসভায় ১৫টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। সেসময় জোটসঙ্গী ডিএমকের (DMK) দুই বিধায়ক এবং এক নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়ে কংগ্রেস (Congress)। মুখ্যমন্ত্রী হন ভি নারায়ণস্বামী। বিরোধী দল অল ইন্ডিয়া এন আর কংগ্রেস পায় ৮টি আসন। এআইএডিএমকে (AIADMK) জেতে ৪টি আসন। কিন্তু এরপর একাধিক বিধায়কের ইস্তফার পর পুদুচেরির বিধানসভার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ছিল ২৬। আর ভোটাভুটিতে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট পায় ১২টি ভোট (সঙ্গে একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন)। বিপক্ষ পেয়েছে ১৪টি ভোট। এরপরই স্পিকার ভি নারায়ণস্বামীর আস্থা ভোটে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য বিধানসভা মুলতবিও করে দেন। এরপরই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দেন ভি নারায়ণস্বামী।
পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী, বিরোধীদের সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হলেও সেই দাবি মানেননি তাঁরা। এরপরই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। তাতেই এদিন সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এরপর কেবল রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষা। তারপরই পুদুচেরিতে জারি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন।