সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি-সিবিআইয়ের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বিরোধীরা যখন গলা ফাটাচ্ছে, তখনই নিবর্তনমূলক আটক বা প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন (Preventive Detention) নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন আইন আসলে ঔপনিবেশিকতার প্রতীক। এই আইন রাষ্ট্রের হাতে অসীম ক্ষমতা তুলে দিতে পারে।
শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী এক মামলার রায়ে বলেছেন, নিবর্তনমূলক আটক আইন অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র। যা রাষ্ট্রশক্তি অর্থাৎ সরকারকে অপরিসীম ক্ষমতা দিতে পারে। সুতরাং এই প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন আইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সব আইনি পদ্ধতি খতিয়ে দেখেই এই ধরনের গ্রেপ্তারিতে সম্মতি দেওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় প্রকাশিত গবেষণায় বিশ্বজয়, ‘গণিতে নোবেল’ পাচ্ছেন শতায়ু ভারতীয় বিজ্ঞানী]
বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী (Justice Krishna Murari) বলছেন, যদি কোনও ক্ষেত্রে মনে হয়, প্রশাসন নিবর্তনমূলক আটকের আগে সব আইনি পদ্ধতি সঠিকভাবে পালন করেনি। বা গ্রেপ্তারির ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করেছে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আটক হওয়া ব্যক্তির জামিনের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া উচিত। আদালত সাফ বলছে, যদি কোনও ব্যক্তিকে আগাম গ্রেপ্তারির আগে কোনওরকম আইনভঙ্গ হয়ে থাকে, তাহলে সেটার সুবিধা আটক বা গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির পাওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার গুরুদায়িত্ব আদালতের উপরই ন্যস্ত।
[আরও পড়ুন: ‘বিরোধীদের কণ্ঠরোধ, গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে’, মোদি সরকারকে ফের তোপ সোনিয়ার]
সচরাচর কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকলেও সরকার চাইলে নিবর্তনমূলক আটক আইন, বা আগাম গ্রেপ্তারি আইন ব্যবহার করে সেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা যায়। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে এই আইনের অপব্যবহার করছে সরকার। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধেও এই আইন অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতের এই রায় খানিকটা হলেও স্বস্তি দেবে বিরোধীদের।