সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনুস্মৃতি (Manusmriti), গীতা পেরিয়ে এবার ‘সমঝোতা’, ফের ধর্ষিতাকে ‘মিটিয়ে ফেলা’র পরামর্শ দিয়ে বিতর্কে জড়াল গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। ১৭ বছরের গর্ভবতী নাবালিকার আইনজীবীকে অভিযুক্তের সঙ্গে আলোচনার কথাও ভাবতে বললেন বিচারপতি সমীর দাভে। যিনি কয়েকদিন আগে একই মামলার শুনানিতে আদালতে মনুস্মৃতি প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কও হয় বিস্তর।
বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি দাভে আইনজীবীকে পরামর্শ দেন, অভিযুক্তের সঙ্গে এবং অভিযোগকারিণীর সঙ্গে কথা বলতে। এই মামলায় কোনও সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা-ও ভেবে দেখতে বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি! কেন্দ্রের চালে চিন্তা নীতীশ-খাড়গেদের]
যদিও এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার আইনজীবী আদালতে জানান, “আমি অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। একটু ভাবলেই তিনটি প্রাণ বাঁচানো যায়! কিন্তু অভিযুক্তের তরফে কোনও সঠিক প্রতিক্রিয়া পাইনি!” এই প্রসঙ্গে বিচারপতি জানান, “এই বিষয়ে প্রয়োজনে আদালত কথা বলবে অভিযুক্তের সঙ্গে।” জেলবন্দি ওই যুবককে আদালতে হাজির করানোর কথাও শোনা যায় বিচারপতির মুখে।
যদিও ওই মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত মুলতবি করলেও বিচারপতি বলেন, ”আদালতের বিচারকদের স্থিতপ্রজ্ঞ হওয়া উচিত। গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে এর ব্যাখ্যা রয়েছে। যেখানে বলা হয়, এটি প্রশংসা বা সমালোচনা যাই হোক না কেন, এটিকে উপেক্ষা করা উচিত। তাই, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে একজন বিচারককে অবশ্যই স্থিতপ্রজ্ঞ হতে হবে।”
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে পিঠে গুলি করে খুন! সেই বুলেট ফুঁড়ে মৃত্যু স্বামীরও!]
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার ওই নাবালিকার বয়স ১৭। শুধু তাই-ই নয়, ওই নাবালিকা বর্তমানে ৭ মাসের অন্তসত্ত্বাও। নাবালিকার বাবা, তাঁর মেয়ের গর্ভপাত করানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন সম্প্রতি। ৭ জুন বিচারপতি দাভে এই মামলার শুনানির সময় নাবালিকার উদ্দেশে ‘মনুস্মৃতি’র প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “তোমার মা-ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করে দেখবে, আগে মেয়েদের ১৪ থেকে ১৫ বছর বয়সের আগেই বিয়ে হত। তাঁদের সন্তানের জন্মও হত কম বয়সেই।” তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছিল।