অভিরূপ দাস: ছাত্রছাত্রীরা বসে গল্প করছিলেন। সে ছবি মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়ে বিপাকে অধ্যাপক। মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অভিযুক্ত অধ্যাপক সুমন নিহারের (Suman Nihar) বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ইন্টারনাল কমপ্লেইন্টস কমিটিতে। সাতদিনের মধ্যে অভিযুক্ত অধ্যাপককে উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। রাত আটটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড ভিউ এরিয়ার সামনে বসেছিল জনা-বিশেক ছাত্রছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোয়ার্টারে থাকেন ওই সহকারী অধ্যাপক। মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে কোয়ার্টারে ফেরার সময় আচমকাই তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন। ছবি তুলতে শুরু করেন বসে থাকা তরুণ তরুণীদের।
[আরও পড়ুন: পার্থর দিকে মল ভরতি মগ ছুঁড়ল জঙ্গি মুসা! পড়ে গেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী]
পড়ুয়াদের অভিযোগ, ‘বিনা অনুমতিতে ছবি তুলছেন কেন?’ পড়ুয়াদের এমন প্রশ্নে নাকি খেপে যান ওই সহকারী অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘‘এখানে কি চলে আমি জানি।’’ এমন উত্তরে আগুনে ঘি পড়ে। ছাত্রছাত্রীরা ঘিরে ধরেন অধ্যাপককে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসা (AISA) সংগঠনের সন্দীপ নায়েক জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রয়েছে। সেখানে একজন অধ্যাপক অনুমতি ছাড়াই মেয়েদের ছবি তুলছেন এটা কোনওমতেই বরদাস্ত করা যায় না।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতের সহযোগিতা খুব দরকার’, ডোভালকে ফোন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের]
যদিও ওই অধ্যাপক জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা এখানে নেশা করে। তিনি প্রতিবাদ করেন বলেই তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনি পরামর্শ নেবেন। তারপরই দেবেন জবাব। উল্লেখ্য গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা জুটা-তে (Juta)।