নিরুফা খাতুন: খাস কলকাতায় প্রোমোটারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল সিন্ডিকেটেরই সদস্যদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম সাদেক খান(৫৪)। বুধবার তিলজলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রোমোটিংয়ের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে হকি স্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সাদেক আগে তিলজলা সাপগাছিয়ায় থাকতেন। এলাকায় ক’য়েকজন ছেলেদের নিয়ে সিন্ডিকেট করে প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা করতেন। বছরখানেক আগে প্রোমোটিং ছেড়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। পুরনো এলাকা ছেড়ে আনন্দপুরের দিকে পরিবারকে নিয়ে চলে যান। রবিবার সাদেক সাপগাছিতে এলে কয়েকজন মিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। হকি স্টিক দিয়ে এলোপাথারি পেটানো। সাদেকের সঙ্গে তাঁর ছেলে সমীর খান ছিল। বাবাকে বাঁচাতে এলে ছেলেকেও হকি স্টিক দিয়ে মারা হয়। আহত বাবা ও ছেলেকে প্রথমে ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া বলে সমীরকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সাদেকের অবস্থা সংকটজনক। তাঁকে পার্ক সার্কাস এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতার রাস্তায় মদ্যপের তাণ্ডব, ভ্যানচালককে ধাক্কার পর গাড়ির উপর নাচ যুবকের!]
পরিবারের অভিযোগ, আলা সহ ও ক’য়েকজন মিলে পিটিয়ে খুন করেছে। এদিন সকালে তঁার মৃতু্য হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় জনা ক’য়েক মিলে সিন্ডিকেটের ব্যবসা করত। সাদেক সিন্ডিকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু পুরনো প্রোমোটিংয়ের কাজের টাকার ভাগবাটোরা নিয়ে সিন্ডিকেটের সদস্যদের সঙ্গে ঝামেলা ছিল। অভিযোগ, প্রোমোটিংয়ের কাজে মেলা টাকার মোটা অংশ সিন্ডিকেটের সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে সাদেক আত্মসাৎ করেছিলেন। অনেকদিন ধরে টাকা আদায়ের চেষ্টায় ছিল তাঁরা। ওদের দলের এক সদস্য আলা। সাপগাছিতে থাকে। রবিবার সাদেক সাপগাছি এসেছে খবর পেয়ে আলা বাকিদের ডেকে নেন। তিন-চারজন মিলে সাদেককে হকিস্টিক দিয়ে মারধর করে। মারধরের পর সাদেকের পরিবারের অভিযোগে থানায় মামলা রুজু করেছিল। তার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। এদিন মান্নান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।
মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, টাকার জন্য চাপ দিতেন অভিযুক্তরা। রবিবার দুপুরে টাকা চেয়ে স্বামীকে ফোন করেছিলেন আলারা। টাকা না দেওয়ায় লাগাতর গালিগালাজ করতে শুরু করেন। তাঁর স্ত্রী ফোন ধরলে তাঁকেও অকথ্য গালিগালাজ করেন অভিযুক্তরা। এরপর আলাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সাদেক যেতেই আলা আরও তিনজনকে জড়ো মারধর শুরু হয়।