shono
Advertisement

বৈষ্ণোদেবীতে রোপওয়ে: কাজ হারানোর আশঙ্কায় স্থানীয়রা, প্রকল্প ঘিরে গণবিক্ষোভ

জোট বেধে বিক্ষোভে নামল বিজেপি-কংগ্রেস।
Posted: 03:45 PM Mar 01, 2023Updated: 03:45 PM Mar 01, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গম পথে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার ট্রেক করে গন্তব্যে পৌঁছতে হত। রোপওয়েতে লাগবে ৬ মিনিট! জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে (Vaishno Devi Temple) পৌঁছাতে রোপওয়ে পরিষেবার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা (Manoj Sinha)। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে বিপুল অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের বিরোধিতার মুখে প্রকল্পটি। তাঁদের দাবি, এর ফলে কাজ হারাবেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার কাটরাতে ‘শত্রুতা’ উড়িয়ে কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপি (BJP) নেতারা হাজার খানেক মানুষের বিক্ষোভে জোট বাধলেন।

Advertisement

প্রতি বছরই বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রী আসেন বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে। ২০২২ সালে এসেছিলেন ৯১ লক্ষ পূণ্যার্থী। তাঁদের অধিকাংশকেই ১২ কিমি দীর্ঘ পথ ট্রেক করে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ২০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত ত্রিকূট পর্বতে অবস্থিত মন্দিরে পৌঁছতে হয়েছিল। এবার সেই পথই হবে সুগম। সৌজন্যে রোপওয়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল জানান, চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে রোপওয়ে প্রকল্প। এবার টেন্ডার টাকা হবে। যদিও তিনি দাবি করেন। এতে স্থানীয়দের ক্ষতি হবে না। উল্লেখ্য, ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই প্রকল্পে। মাত্র ৬ মিনিটে তারাকোট মার্গ থেকে সাঞ্জি ছাটে ভক্তদের পৌঁছে দেবে রোপওয়ে।

[আরও পড়ুন: খেলতে খেলতে হৃদরোগ, স্টেডিয়ামেই মৃত হায়দরাবাদের যুবক]

এর ফলেই কাজ হারাবেন তাঁরা, আশঙ্কা স্থানীয়দের। এতদিন প্রবীণ তীর্থযাত্রীরা ঘোড়ায় কিংবা ঝোলায় চেপে পাহাড় চড়তেন। একবার রোপওয়ে চালু হলে এই ধরনের বাহনের আর প্রয়োজন হবে না। পাশাপাশি ১২ কিমি চড়াই পথের অন্যান্য ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই কারণেই বৈষ্ণোদেবীতে রোপওয়ে প্রকল্প চান না তাঁরা। মঙ্গলবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন স্থানীয়রা।

যদিও রোপওয়ে প্রকল্পের শীর্ষ আধিকারিক আনসুল গর্গ বলেন, “শ্রীমাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ড ভক্তদের পরিষেবা দিতে গিয়ে কখনই স্থানীয় মানুষকে বিপাকে ফেলেনি। গত চার বছর ধরে ভৈরব ঘাঁটিতে রোপওয়ে পরিষেবার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের।” পাশাপাশি তিনি জানান, কিছু সুবিধা-অসুবিধা থাকলে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে। এদিকে জেলার বিজেপি নেতা রোহিত দুবে এবং কংগ্রেস নেতা রাজেশ সাদোত্রা একযোগে জানান, “আমরা স্থানীয় পাশে। দেখতে হবে এই মানুষগুলো যাতে বিপদে না পড়েন”।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement