সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শেষেই কি মিটবে কৃষক বিক্ষোভ (Farmer’s Protest) ? অন্তত তেমনই আশার আলো দেখা গেল। আরও একদফা বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন তাঁরা।
এদিকে কৃষি আইনের প্রতিবাদে এনডিএ ছাড়ল বিজেপির আরও এক জোটসঙ্গী। রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক দল শনিবার জোট ভাঙার ঘোষণা করে। বরং তাঁরাও আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। শনিবার এই ঘোষণা করেন দলের প্রধান তথা সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল। ফলে আরও চাপে পড়ল কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার।
[আরও পড়ুন : ‘কৃষি আইনের ভাল-মন্দ বুঝিয়ে বলতে পারবেন?’, রাহুলকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ জাভড়েকরের]
এদিন আন্দোলকারী কৃষক সংগঠন স্বরাজ ভারতের আহ্বায়ক যোগেন্দ্র যাদব সাংবাদিক বৈঠক করেন। জানান, ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টা নাগাদ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে তাঁরা রাজি। কৃষি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব বিবেক আগরওয়ালকে চিঠি দিয়ে একই কথা জানিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চাও। উল্লেখ্য, ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের খোলা চিঠি দেন। এমনকী, কৃষি আইন কার্যকর করতে দেওয়ার আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রীও। তারপরই বরফ গলার ইঙ্গিত। যদিও কৃষকরা তাঁদের চিঠিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ করেছে, ‘পুরনো বৈঠকগুলিতে আলোচিত তথ্য লুকনোর চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।’ যদিও সরকারের দাবি, কৃষকদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনায় বসতে তৈরি তাঁরা।
এই চিঠি-চাপাটির মাঝেই এনডিএ জোট ছাড়ল আরেক জোটসঙ্গী। এদিন কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর জোট ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন হনুমান বেনিওয়াল। তিনি বলেন, “কৃষক বিরোধী কারোর পাশে আমি থাকব না।” তাঁর গুরুতর অভিযোগ, ভুয়ো কোভিড রিপোর্ট দেখিয়ে তাঁকে লোকসভায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেখানে উপস্থিত থাকলে, তিনি কৃষিবিলের কপি সংসদেই ছিঁড়ে ফেলতেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে এই আইনের বিরোধিতা করে এনডিএ ছেড়েছিল বহু পুরনো জোট শরিক শিরোমনি অকালি দল। এবার একইপথে হাঁটল আরএলপি-ও।