সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনাসিমা জেলার নাম বদল নিয়ে উত্তপ্ত অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh)। পরিস্থিতি এমন অশান্ত হয়ে ওঠে যে, রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী পিনিপে বিশ্বরূপের বাড়ির সামনে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। আগুন লাগানো হয় বিধায়কের বাড়িতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয় কোনাসিমার (Konaseema) অমালাপুরম শহরে। কারফিউ জারি করা হয় এলাকায়। তবে আপাতত এলাকায় শান্তি ফেরানো সম্ভব রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? জেলার নাম বদলের প্রতিবাদে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের বাড়িতে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে প্রতিবাদকারীরা। এরপরই তাদের উপরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এমনকী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলিও চালায় পুলিশ। এই ঘটনার পরেই আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রতিবাদকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পালটা ইট ছোঁড়ে তারা। এরপরই বিধায়ক (Andhra Pradesh MLA) পি সতীশের বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয় প্রতিবাদীরা।
[আরও পড়ুন: ‘এটা অন্ধ্রপ্রদেশ না পাকিস্তান?’ এবার জিন্না টাওয়ারের নাম বদলের দাবিতে সোচ্চার বিজেপি]
ঘটনার সূত্রপাত মে মাসের শুরুর দিকে। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার রাজ্যে নতুন তেরোটি জেলা গঠনের কথা ঘোষণা করেন। তার মধ্যে ছিল তফসিলি জাতি অধ্যুষিত কোনাসিমা জেলাও। সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, ড. বি আর আম্বেদকরের নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হবে। জেলার বাসিন্দারা অধিকাংশই তফসিলি জাতির প্রতিনিধি বলেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছে সরকার।
এহেন ঘোষণার পরেই প্রতিবাদে (Andhra Pradesh Clash) নামেন কোনাসিমা জেলার বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, এই জেলার নাম বদলে ফেলা যাবে না। কেরালার ব্যাকওয়াটারের সঙ্গে তুলনা টানা হয় এই অঞ্চলেরও। পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত জনপ্রিয় এই জেলা। এছাড়াও এই নামের সঙ্গে আঞ্চলিক ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। পূর্ব গোদাবরী জেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে এই নতুন জেলা।
এই ঘটনায় বিরোধী দলের দিকে আঙুল তুলেছেন মন্ত্রী বিশ্বরূপ। তিনি বলেছেন, “তেলুগু দেশম পার্টির উসকানিতেই এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা হয়েছে। জেলার তফসিলি জাতির প্রতিনিধিদের কথা মাথায় রেখেই নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” পালটা দিয়ে বিরোধী দলগুলি পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারার জন্য সরকারকে দায়ী করেছে।