shono
Advertisement
Porsche crash

রক্তের নমুনা বদলের অভিযোগ, পোর্শে কাণ্ডে গ্রেপ্তার অভিযুক্তের মা

দুকোটি টাকা দামের বিলাসবহুল ওই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় দুই আইটি কর্মীর।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 08:25 AM Jun 01, 2024Updated: 09:06 AM Jun 01, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পোর্শে কাণ্ডে এবার গ্রেপ্তার অভিযুক্তের মা। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার। জানা গিয়েছে, নাবালক চালককে বাঁচানোর জন্য় রক্তের ভুয়ো নমুনা দিয়েছিলেন তার মা। সেই নমুনা পরীক্ষা করেই ফরেন্সিক রিপোর্ট তৈরি হয়, যাতে প্রমাণ করা যায় যে দুর্ঘটনার সময়ে নাবালক চালক মদ্যপ ছিল না। তার পর থেকে পলাতক ছিলেন ওই মহিলা। রক্তের নমুনা বদলের অভিযোগই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

পোর্শে দুর্ঘটনার তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুণের (Pune) পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন, সাসুনের সরকারি হাসপাতালে অভিযুক্ত নাবালকের রক্তের নমুনা পরীক্ষার কথা ছিল। সেই মতো নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সেই নমুনা ফরেন্সিকে পাঠানোর বদলে ডাস্টবিনে ফেলে দেন শ্রীহরি হালনোর নামে এক কর্মী। হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান অজয় তাওড়ের নির্দেশেই এই কাজ করেন শ্রীহরি। তদন্তে নেমে এই দুই ব্যক্তিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তাদের জেরা করেই উঠে আসে অভিযুক্ত নাবালকের মা শিবানী আগরওয়ালের নাম। পুণে পুলিশের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ঘটনার পরে বদলে দেওয়া হয়েছিল রক্তের নমুনা। অন্য কারোর রক্ত পরীক্ষা করে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। আসলে শিবানীর রক্ত পরীক্ষা করেই রিপোর্ট তৈরি হয়। কিন্তু দুই চিকিৎসকের গ্রেপ্তারির পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন শিবানী। অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। 

প্রসঙ্গত, পুণের দুর্ঘটনার পরে নাবালককে বাঁচাতে গাড়ির ড্রাউভারের উপর দোষ চাপাতে চেয়েছিল গোটা পরিবার। তারা চেয়েছিল, গোটা ঘটনার দায় নিক পোর্শে গাড়ির চালক। তাঁর ফোন কেড়ে নিয়ে একটি বাংলোয় আটকে রেখেছিলেন নাবালকের বাবা ও দাদু। পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদেরও। 

এর মধ্যেই অভিযুক্তের নাবালকের দুই বন্ধু দাবি করেছে, মত্ত অবস্থাতেই গাড়িটি চালাচ্ছিল সে। সেই সময় গাড়ির পিছনের আসনেই বসেছিল তারা। দুজনের বয়ানই রেকর্ড করেছে পুণে পুলিশ। দুই বন্ধুর আরও দাবি, সে নাকি ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে গাড়ি চালাচ্ছিল। এর পরই দুকোটি টাকা দামের বিলাসবহুল ওই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ২১ ও ২৪ বছর বয়সি দুই আইটি কর্মীর। জুভেনাইল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৫ জুন পর্যন্ত নাবালকদের সংশোধনাগারে থাকবে অভিযুক্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন, সাসুনের সরকারি হাসপাতালে অভিযুক্ত নাবালকের রক্তের নমুনা পরীক্ষার কথা ছিল। সেই মতো নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
  • কিন্তু সেই নমুনা ফরেন্সিকে পাঠানোর বদলে ডাস্টবিনে ফেলে দেন শ্রীহরি হালনোর নামে এক কর্মী। হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান অজয় তাওড়ের নির্দেশেই এই কাজ করেন শ্রীহরি। তদন্তে নেমে এই দুই ব্যক্তিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
  • এর মধ্যেই অভিযুক্তের নাবালকের দুই বন্ধু দাবি করেছে, মত্ত অবস্থাতেই গাড়িটি চালাচ্ছিল সে। সেই সময় গাড়ির পিছনের আসনেই বসেছিল তারা।
Advertisement