সংবাদ প্রতিদি ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দেনে ওয়ালা জব ভি দেতা, দেতা ছপ্পর ফাড় কে৷’ প্রবাদটি যে কতটা সত্যি তা ফের প্রমাণিত হল৷ ‘হেরাফেরি’ ছবিটিতে একটি ফোন পালটে দিয়েছিল পরেশ রাওয়াল থুড়ি বাবুরাওয়ের জীবন৷ এবার রিল নয় রিয়েল লাইফেও ঘটল এমনই এক ঘটনা৷ ভাগ্যের ফেরে রাতারাতি দিনমজুর বনে গেল ক্রোড়পতি৷
[লিগ জয়ের আনন্দ, ড্রেসিংরুমে ডিকাদের ২ লক্ষ টাকা দিলেন টুটু বোস]
ঘটনাটি পাঞ্জাবের সঙ্গরুর জেলার৷ একটি কুঁড়েঘরই আশ্রয় মনোজ কুমার তাঁর স্ত্রী রাজ কৌর ও তিন কন্যার৷ ভবিষ্যতের পরিকল্পনা বলতে দু’বেলার খাবার জোগাড় করা৷ দিনে মাথায় ইটের বোঝা আর রাতে দুশ্চিন্তা, এই নিয়ে কাটছিল পেশায় দিনমজুর দম্পতির জীবন৷ আর্থিক অনটনে একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় মনোজের বাবার৷ তবে হঠাৎই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা৷ ৩০ আগস্ট পালটে দেয় মনোজের জীবন৷ আর পাঁচটা দিনের মতোই সেদিন কাজে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন মনোজ ও তাঁর স্ত্রী৷ হঠাৎই দরজায় ধাক্কা৷ আগল খুলে দেখা গেল পোস্টম্যান দাঁড়িয়ে৷ তাঁর হাতে রয়েছে একটি চিঠি৷ নিজেই পত্রটির বয়ান পড়ে শোনালেন পোস্টম্যান৷ এবার যেন নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না মনোজ৷ নিজেকে চিমটি কেটে দেখে নিলেন এটা স্বপ্ন নয় তো? না, বেশ জোরেই ব্যথা লাগল৷ চিঠিটিতে লেখা ছিল ১ কোটি ৫০ টাকার রাজ্য সরকারের লটারি পেয়েছেন তিনি৷
এই ঘটনায় সম্পূর্ণ পালটে গিয়েছে ওই দিনমজুরের জীবন৷ ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সমস্ত নথি জমা দিয়েছেন মনোজ৷ চলতি মাসে লটারির টাকা হাতে আসবে তাঁর৷ কথা প্রসঙ্গে মনোজ জানান, জীবনে কোনওদিন লটারির টিকিট কেনেননি তিনি৷ খেয়ালের বশে পড়শির থেকে ২০০ টাকা ধার নিয়ে কিনেছিলেন টিকিটটি৷ বুঝতেই পারেননি এভাবে পালটে যাবে তাঁর জীবন৷ তবে হঠাৎ কোটিপতি হয়ে বেশ কিছু ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে তাঁকে৷ তাঁর বাড়ির দরজায় একের পর এক হাজিরা দিচ্ছেন ব্যাংকের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে জমি ব্যবসায়ীরা৷ তবে এখনই এসব নিয়ে ভাবছেন না মনোজ৷ মেয়েদের পড়াশোনা ও আপাতত একটি বাড়ি বানাতে চান তিনি৷
[ছাত্র বিক্ষোভ চলাকালীন বহিরাগতদের তাণ্ডব, উত্তাল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়]
The post ছপ্পর ফাড় কে! ভাগ্যের ফেরে রাতারাতি কোটিপতি দিনমজুর appeared first on Sangbad Pratidin.