সুদীপ রায়চৌধুরী: ভূপতিনগরে(Bhupatinagar) বিস্ফোরণের তদন্তে গিয়ে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হন এনআইএ আধিকারিকরা। জেলা প্রশাসনের রিপোর্টে সেকথা স্বীকার করা হল। সোমবার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ এবং এসডিও-র তরফে সিইও অফিসে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে গত শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এনআইএ-এর তরফে অভিযানের বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়। এর পর পুলিশের তরফে বাহিনী প্রস্তুত করার আগেই হেনস্তার ঘটনা ঘটে যায়। আধিকারিকদের শারীরিক নিগ্রহের খবর আসার পরেই অবশ্য সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পাঠানো রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার খবর পেয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে যান।
[আরও পড়ুন: মোসাদের ধাঁচে পাকিস্তানে জঙ্গি নিকেশ! ভারতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে মুখ খুলল আমেরিকা]
শনিবারের ওই ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হতেই জেলা প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। সোমবার সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। তেমনটাই নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
ভূপতিনগরের ঘটনা গত ৬ তারিখের। নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বছর দুই আগেকার এক বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনার তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিকরা। এবারও সন্দেশখালির মতো মহিলা ব্রিগেড হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অন্তত ১০০-১৫০ জন অনুগামী তাঁদের ঘিরে ধরেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। হাতে ছিল লাঠিসোঁটা। গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি একটাই, ধৃত তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি বলাই মাইতি এবং বুথ সভাপতি মনোব্রত জানাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এই ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়। সেই ঘটনার রিপোর্ট চায় কমিশন।