shono
Advertisement

সিনিয়রদের হুমকি, ব়্যাগিংয়ের ভয়ে নেড়া মাথায় সেলাম ঠুকলেন ১৫০ ডাক্তারি পড়ুয়া

ব়্যাগিংয়ের খবর ভাইরাল হতেই সমালোচনায় সরব নেটিজেনরা।
Posted: 03:44 PM Aug 21, 2019Updated: 03:45 PM Aug 21, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমার দৃশ্যটা মনে আছে, যখন অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় নতমস্তকে সিনিয়রদের সেলাম ঠুকছিলেন জুনিয়ররা৷ এবং সেই সময়ই মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে প্রবেশ করেছিলেন ব়্যাঞ্চো (আমির খান)৷ কলেজের প্রথামতো তাঁকেও একই কাজ করতে বলেন দাদারা৷ কিন্তু, নিজের মতো করে সেই ব়্যাগিংয়ের মোকাবিলা করেন ব়্যাঞ্চো৷ সিনিয়রদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছিলেন তিনি৷ রক্ষা করেছিলেন বাকি জুনিয়রদের৷ কিন্তু উত্তরপ্রদেশের সাফারি গ্রামের ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে কোনও ব়্যাঞ্চো নেই৷ তাই মুখ বুজে সিনিয়রদের জুলুমবাজি সহ্য করতে হল প্রথম বর্ষের ১৫০ জন পড়ুয়াকে৷ মাথা নেড়া করে কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরতে হল তাদের৷ সেলাম ঠুকতে হলে অভিযুক্তদের৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: দফায় দফায় বাড়িতে সিবিআই হানা, গ্রেপ্তারির আশঙ্কায় ‘উধাও’ চিদম্বরম]

অভিযোগ, মঙ্গলবার সিনিয়ররা নতুন ছাত্রদের হুমকি দিয়ে জানায়, প্রত্যেককে নেড়া হতে হবে এবং সেলাম ঠুকতে হবে। কথা না শুনলে পরিণতি হবে মারাত্মক। সিনিয়রদের কথা না মানলে আরও ভয়ানক র‌্যাগিংয়ের শিকার হতে হবে, এই আশঙ্কায় মাথা মুড়িয়ে ফেলে ১৫০ জন ডাক্তারি ছাত্র। এই অবস্থায় তাদের কলেজে ঢোকার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তৈরি হয় বিতর্ক৷ তীব্র সমালোচনা শুরু করেন নেটিজেনরা৷ যদিও এমন ঘটনার কথা কার্যত অস্বীকার করেছেন ওই ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ডা. রাজ কুমার। এমনকী, অভিযুক্তদের শাস্তির আশ্বাসও দেননি তিনি। তাঁর দাবি, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে কিছু জানা নেই। আমাদের অ্যান্টি-র‌্যাগিং কমিটি আছে। অভিযোগ পেলে তারা সমস্তটা খতিয়ে দেখবে। এই কমিটি বা ওয়ার্ডেনের কাছে ছাত্ররা অভিযোগ করতে পারে ছাত্ররা।”

[ আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বিলোপর পরও উত্তপ্ত কাশ্মীর! গুলির লড়াইয়ে শহিদ পুলিশকর্মী, খতম এক জঙ্গি ]

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, কলেজের গেট দিয়ে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরে সবাই নেড়া হয়ে মাথা নিচু করে কলেজে ঢুকছে নতুন পড়ুয়ারা। তাদের সামনে এক নিরাপত্তারক্ষীকেও দেখা গিয়েছে। আর এই ঘটনাই প্রমাণ করেছে, প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ যতই র‌্যাগিংকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করুক না কেন, শিক্ষাক্ষেত্রে এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি এই মারাত্মক মশকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement