সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হলেন আপ (AAP) সাংসদ রাঘব চাড্ডা (Raghav Chadha)। অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁকে নির্বাসিত করেছেন রাজ্যসভার চেয়্যারম্যান। চার সাংসদের সই নকল করার অভিযোগ উঠেছে আপ সাংসদের বিরুদ্ধে। অনুমতি ছাড়াই রাজ্যসভার (Rajya Sabha) প্যানেলে চারজন সাংসদের নাম উল্লেখ করেছেন রাঘব চাড্ডা, এমন অভিযোগও উঠেছে। সমস্ত ঘটনা মিলিয়ে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে আপ সাংসদকে। প্রসঙ্গত, চলতি বাদল অধিবেশনেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকেও।
গত ৭ আগস্ট দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব পেশ করেন রাঘব চাড্ডা। সেখানেই সস্মিত পাত্র, এস ফ্যাংনন কোন্যাক, এম থাম্বিদুরাই ও নরহরি আমিনের নাম উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এই চার সাংসদ পরে অভিযোগ করেন, তাঁদের অনুমতি ছাড়াই প্রস্তাবে তাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চার সাংসদের সই নকলেরও অভিযোগ উঠেছে। সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar) কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামে ইতিহাস রোনাল্ডোর, মেসিকে টপকে প্রথম ব্যক্তি হিসাবে গড়লেন এই নজির]
সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই রাঘব চাড্ডাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি জানিয়ে দেন, প্রিভিলেজ কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রাজ্যসভার সমস্ত কাজ থেকে নির্বাসিত থাকবেন চাড্ডা। একই সঙ্গে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের (Sanjay Singh) সাসপেনশনের মেয়াদও বাড়িয়ে দেন ধনকড়। গত ২৪ জুলাই সাসপেন্ড করা হয়েছিল আপ সাংসদকে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ কমিটির তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি সাসপেন্ড থাকবেন।
অন্যদিকে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীর সাসপেন্ড হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে আনেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। উপরাষ্ট্রপতিকে তিনি বলেন, অহেতুকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে অধীর চৌধুরীকে। কিন্তু একাধিক সংসদীয় কমিটির সদস্য তিনি। সাসপেন্ড হওয়ার কারণে এই কমিটিতে কাজ করতে পারবেন না,সেটা মোটেই ঠিক নয়। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের উচিত, গণতন্ত্র বজায় রাখা।