সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই ইস্যুতে একের পর এক নজিরবিহীন ঘটনায় বিধ্বস্ত আমলাতন্ত্র। মধ্যরাতে নজিরবিহীনভাবে দুই শীর্ষকর্তা অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্তানা-সহ একাধিক শীর্ষকর্তাকে ‘ছুটিতে’ পাঠানোর নির্দেশিকা নিয়ে এখন বিভোর জাতীয় রাজনীতিও। গোটা সিবিআই বিতর্কে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল কেন্দ্র। এবার চাপ আরও বাড়াল বিরোধীরা। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সবশেষে রাহুল গান্ধী। বিরোধী শিবিরের একের পর এক হেভিওয়েট নেতা একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে যাচ্ছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এবার রাহুল আনলেন সবচেয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ।
[সিবিআই এখন বিজেপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, বিতর্কের মধ্যেই তোপ মমতার]
একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে কংগ্রেস সভাপতি বললেন, রাফালে নিয়ে প্রশ্ন তুলেই মোদি সরকারের তোপের মুখে পড়তে হল সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মাকে। রাহুল বলেন, ‘অলোক ভার্মা রাফালে মামলার তদন্তে ছিলেন, ইতিমধ্যেই রাফালের বিভিন্ন রকম নথি জোগাড় করা শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। আর সেজন্যই চৌকিদার মাঝ রাতে তাঁকে সরিয়ে দিলেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে কতটা বিপদে রয়েছে ভারতের সংবিধান, স্বশাসিত সংস্থাগুলিও নিজের মতো কাজ করতে পারছে না।’ কংগ্রেসের অভিযোগ, অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই ছিল না, আস্তানার বিরুদ্ধে তিনি তদন্ত শুরু করেছিলেন । একই সঙ্গে রাফালে মামলা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছিলেন ভার্মা। সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন তিনি। আর সেকারণেই সুযোগ বুঝে তাঁকে সরিয়ে দিল সরকার। একই অভিযোগ তুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়ালও। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে রাফালে চুক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ফেলেছেন দুই প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।
[অন্তর্কলহে রদবদল, সিবিআইয়ের রাশ ধরলেন নাগেশ্বর রাও]
যদিও, বিরোধীদের এই অভিযোগ নাকচ করেছে সরকার। সাংবাদিক বৈঠক করতে এসে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি দাবি করেছেন, বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সিবিআইয়ের অভ্যন্তরে কোন আধিকারিক কীভাবে কাজ করছেন, তা সরকার জানে না। তাই এই প্রশ্নের কোনও সারবত্তা থাকতেই পারে না।