সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের অন্দরে যে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে, তা মেটাতে এবার আসরে নামছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) । শনিবারই ২৩ জন ‘বিদ্রোহী’ নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের মধ্যস্থতাতেই হচ্ছে ওই বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও (Priyanka Gandhi)।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সাংগঠনিক সমস্যার কথা তুলে ধরে পূর্ণ মেয়াদের সভাপতি চেয়ে সোনিয়াকে চিঠি দিয়েছিলেন দলের ওই শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সেই সঙ্গে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (CWC)-কেও ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। যা নিয়ে তীব্র ডামাডোল তৈরি হয়েছিল। জানা গিয়েছে, শনিবারই এই বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করতে পারেন সোনিয়া। সাংগঠনিক বিষয় ছাড়াও কেন্দ্রের শীতকালীন অধিবেশন না ডাকা, জোট গঠন, অসম, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গের মতো ভোটমুখী রাজে্যর কৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, জানুয়ারিতে এআইসিসি’র (AICC) অধিবেশন হতে পারে। সেই অধিবেশনেই নাকি নির্বাচিত হবে দলের নতুন স্থায়ী সভাপতি। যার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। সে ব্যাপারেও কথা হতে পারে কালকের বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: আইপিএস ইস্যুতে মমতার পাশে কেজরিওয়াল, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের নিন্দায় টুইট]
প্রসঙ্গত, গত আগস্টেই কপিল সিব্বল, শশী থারুর, গুলাম নবি আজাদ, পৃথ্বীরাজ চৌহান, আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারি, রাজ বব্বরদের মতো বর্ষীয়ান নেতারা সোনিয়াকে চিঠি দিয়েছিলেন। দলের কার্যপদ্ধতি এবং নেতৃত্বে বদল চেয়েছিলেন। তারপর রীতিমতো আলোড়িত হয়ে যায় কংগ্রেস। সম্প্রতি একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেস মুখ থুবড়ে পড়ছে। ক্রমশ শক্তিক্ষয় হচ্ছে। এর মধ্যে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে দলকে। বিহারে কংগ্রেসের দুর্বলতার জন্যই অনবদ্য লড়াইয়ের পরও মসনদে বসতে পারেননি তেজস্বী যাদব। এইসব ব্যর্থতা দলে বিদ্রোহ আরও বাড়িয়েছে। বারবার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। মুখ খুলেছেন পি চিদম্বরমও। ক্রমবর্ধমান এই ক্ষোভ-বিক্ষোভ মেটাতেই এবার গোটা গান্ধী পরিবার একসঙ্গে আসরে নামছে।