সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্ট নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি মন্তব্য করেন, "এখন বোঝা যাচ্ছে কেন তিনি ভীত ছিলেন।" এইসঙ্গে লোকসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করলেন, হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্টে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, কীভাবে সেবির মতো একটি সাংবিধানিক সংস্থার কার্যক্রম এবং কর্তব্যে আপোস করা হয়েছে।
এদিন রাহুল বলেন, আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কে হিন্ডেনবার্গের নতুন রিপোর্টে স্পষ্ট, কেন জিপিসিতে (Joint Parliamentary Committee) ভয় পাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওবার্তা দিয়েছেন রাহুল। সেখানে তিনি বলেন, ছোট ব্যবসায়ী তথা খুচরো বিনিয়োগকারীদের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব SEBI-র উপরে। বর্তমান ঘটনায় সংস্থার সততার উপরে আঘাত এসেছে। এর চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদতে সংস্থার কর্তব্যের সঙ্গে আপস। কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, গোটা ভারত জানতে চায়, এত বড় অভিযোগের পরেও সেবি চেয়ারপার্সন পদত্যাগ করছেন না কেন?
[আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্ট, মোদিকে দুষে সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি খাড়গের]
হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যে সেবি আদানিদের ক্লিনচিট দিয়েছে, সেই সংস্থার প্রধানও আদানিদের থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিদেশে সরানো টাকায় অংশীদারিত্ব ছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামীর। সেই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন সেবির শীর্ষকর্তা মাধবী পুরী বুচ। এমকী আদানি গোষ্ঠীও এই অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছে, সংস্থার সুনাম নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘আয় নয়, আত্মহত্যাই দ্বিগুণ হয়েছে’, কৃষক অস্ত্রে শান দিয়ে মোদিকে তোপ পওয়ারের]
অন্যদিকে সেবির বিরুদ্ধে সরব হয়ে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে লেখেন, ‘গত বছর আদানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হন্ডেনবার্গ তুলেছিল তাতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে মোদিজির পরম মিত্রকে ক্লিনচিট দিয়েছিল সেবি। আজ সেই সেবি প্রধানের সঙ্গে আদানিদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারী মধ্যবিত্ত, যারা তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে, তাদের রক্ষা করা প্রয়োজন। কারণ তারা সেবিকে বিশ্বাস করে।’ একইসঙ্গে খাড়গে লেখেন, ‘যতদিন না যৌথ সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে এই বিরাট দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে ততদিন মোদিজি তার A1 (গৌতম আদানি) বন্ধুকে সাহায্য করে যাবেন এবং দেশের দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির দফারফা করতে থাকবেন।’