সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিমা কোরেগাঁও গ্রামে জাতি হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুণে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন বিশিষ্ট কবি, সমাজকর্মী ও বামপন্থী চিন্তাবিদ ভারভারা রাও। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন সমাজকর্মী শুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেইরা, ভেনন গনজালভেস প্রমুখ। ধৃতদের বাড়ি থেকে একাধিক ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ভারভারা-সহ একাধিক সমাজকর্মীর গ্রেপ্তারের ঘটনাকে বিজেপির রাজনৈতিক চাল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[বাদ পড়া ব্যক্তিদের ফের সুযোগ কেন? এনআরসি ইস্যুতে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের ]
২০১৭-র ৩১ ডিসেম্বর ভিমা কোরেগাঁও গ্রামে এলগার পরিষদ নামে এক সংগঠন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। ওই অনুষ্ঠান থেকেই মহারাষ্ট্রের ভিমা কোরেগাঁও গ্রামে ব্যাপক হিংসা ছড়ায়। ওই ঘটনার তদন্তেই মঙ্গলবার পুণে পুলিশ দিল্লি, মুম্বই, হরিয়ানা, হায়দরাবাদ, রাঁচি, ছত্তিশগড়ে একযোগে একাধিক সমাজকর্মী ও বুদ্ধিজীবীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। মূলত মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন অভিযোগেই সমাজকর্মীদের বাড়িতেই এই তল্লাশি হয়। প্রধানমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্রতেও এদের যোগ রয়েছে বলে দাবি পুলিশ সুত্রের। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন অভিযুক্তরা।
[অস্বস্তি এড়াতে নোট বাতিল সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট পেশে ‘বাধা’ বিজেপির]
এদিকে ৫ বামপন্থী বুদ্ধিজীবীর গ্রেপ্তারিতে রীতিমতো উত্তপ্ত নয়াদিল্লির রাজনীতি। মোদি সরকারের তীব্র সমালোচক হিসেবে পরিচিত লেখিকা অরুন্ধতী রায় ফের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অরুন্ধতি বলেন, “আমরা জরুরি অবস্থার সবচেয়ে কাছাকাছি সময়ে চলে এসেছি। শুধুমাত্র সরকারি ঘোষণায় যা বাকি।” উল্লেখ্য জরুরি অবস্থা চালুর পর জয়প্রকাশ নারায়ণ, অটলবিহারী বাজপেয়ী, পিনারাই বিজয়ন, সীতারাম ইয়েচুরি-সহ অসংখ্য বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ বলেন, “গান্ধীজি যদি আজ জীবিত থাকতেন তাহলে তাঁকেও জেলে ভরত মোদি সরকার।” আসরে নেমেছে বিরোধীরাও। গতকালই টুইটারে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বুদ্ধিজীবীদের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে মোদি সরকারকে একহাত নেন। রাহুল বলেন, “এদেশে একটি স্বশাসতি সংস্থাই কাজ করতে পারে, আর সেটা হল আরএসএস। এদেশে সব সমাজকর্মীদের জেলে ভরে দেওয়া হয়, যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের গুলি করে দেওয়া হয়। নতুন ভারতে আপনাকে স্বাগত।” এদিকে রাহুলের এই মন্তব্যের পালটা এসেছে বিজেপি শিবির থেকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু রাহুলকে পালটা আক্রমণ করে বলেন, মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর উচিত রাজনীতি না করে, জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া।
The post বাম বুদ্ধিজীবীদের গ্রেপ্তারিতে তুঙ্গে রাজনীতি, রাহুলকে পালটা আক্রমণ বিজেপির appeared first on Sangbad Pratidin.