সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত রবিবার, হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি। শুক্রবারই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল রাহুল গান্ধীর। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী ৮ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত একাধিক দেশে যাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস নেতার। যা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছিল। সেই সফর বাতিল করে আপাতত দলের হারের পর্যালোচনা করছেন কংগ্রেস নেতা।
সবে ৩ রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে দলের। এই পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের পাশে না দাঁড়িয়ে বিদেশ সফর কেন? অস্ফুটে প্রশ্ন উঠছিল দলের অন্দরেই। শেষ পর্যন্ত রাহুল বিদেশে গেলেন না। শোনা যাচ্ছে, তাঁর প্রস্তাবিত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সফর বাতিল হয়েছে। আপাতত তিনি দলের হারের কারণ পর্যালোচনা করছেন। শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়াতে সংসদেও যান রাহুল। বিরোধীদের ওয়াক-আউটের সময় মহুয়ার সঙ্গে বেরিয়ে প্রতিবাদেও যোগ দেন।
[আরও পড়ুন: গেরুয়া ঝড়ের রেশেই ফের কামাল, আবার সর্বকালের রেকর্ড উত্থান সেনসেক্সের]
শুক্রবারই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের হারের পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন রাহুল। শনিবার তিনি মিজোরাম এবং রাজস্থানের দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তিন রাজ্যের নেতাদের পাশে থাকেন। কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিতও দেন।
[আরও পড়ুন: ইসলামিক স্টেটের শিকড় উপড়ে ফেলতে ৪১টি জায়গায় অভিযান NIA-এর, গ্রেপ্তার ১৫]
এই পরাজয়ের পর দলের অন্দরেই ‘কঠিন’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি উঠছে। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের ধারণা, ভুপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel), অশোক গেহলট এবং কমল নাথরা দলকে বিপথে চালনা করেছেন। বাস্তবের মাটিতে দলের অবস্থা ঠিক কী সেটা বুঝতেই দেননি শীর্ষনেতাদের। এমনকী দলের হাই কম্যান্ডকেও ভোট প্রক্রিয়ায় নাক গলাতে দেননি। কংগ্রেসের অন্দরে চাপা সুর উঠছে, এই সব পুরনো নেতাদের এবার ছুটি দেওয়া হোক। কিন্তু সেই কাজটা সহজ নয়। রাহুল-খাড়গেরা সেটা করতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।