সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গেরুয়া শিবির বরাবরই তাঁকে কটাক্ষ করেছে ‘পাপ্পু’ বলে। কিন্তু তিনি, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) দাবি এই ধরনের কটাক্ষে তাঁর কিছুই আসে যায় না। রাহুলের কথায়, ”যে নামেই ডাকা হোক, আমি সব নামকেই স্বাগত জানাই। ভালই লাগে। দয়া করে আরও বেশি করে আমার নাম নিন সবাই।” এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর মতে, এই ধরনের সম্ভাষণ থেকে পরিষ্কার যারা এমন বলে তারা আসলে ভয় পায় তাঁকে।
আপাতত ভারত জোড়ো যাত্রা সাময়িক বিরত রেখেছে কংগ্রেস (Congress)। ফের যাত্রা শুরু হবে ৩ জানুয়ারি থেকে। এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে যাত্রা মুম্বইয়ে থাকাকালীন রাহুলের দেওয়া সাক্ষাৎকারটি। সেই সাক্ষাৎকারে ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi) সম্পর্কেও কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা। জানিয়েছেন, ”আমার ঠাকুমাকে ‘লৌহমানবী’ বলা হত। অথচ তার আগে ওঁকে ‘নির্বাক পুতুল’ বলে কটাক্ষ করা হত। কিন্তু আচমকাই সেই নির্বাক পুতুলই কালক্রমে হয়ে ওঠেন লৌহমানবী। চিরকাল লৌহমানবীই থেকে গিয়েছেন তিনি। আমারও কিছু এসে যায় না, যে নামেই ডাকা হোক। আমি কিছুই মনে করি না।”
[আরও পড়ুন: সন্তান হচ্ছে না কেন, রাগে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে ব্লেড চালাল স্বামী! চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশে]
ঠাকুমা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন রাহুল। জানিয়ে দেন, ”উনি আমার দ্বিতীয় মা।” এই কথায় তাঁকে পালটা প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি ঠাকুমার মতো গুণসম্পন্ন মেয়েকেই বিয়ে করতে চান? উত্তরে রাহুল বলেন, ”এটা বেশ ভাল প্রশ্ন। মা আর ঠাকুমার গুণের মিশ্রণ থাকলেই ভাল হয়।”
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে কংগ্রেসের তরফে আরজি জানানো হয়েছে, রাহুল গান্ধী ও ভারত জোড়ো যাত্রার শরিকদের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত করা হয়। উল্লেখ্য, ভারত জোড়ো যাত্রায় ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। আপাতত বিরতি থাকলেও এরপর উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করার কথা রাহুলদের। এই যাত্রাকে ঘিরে কংগ্রেস প্রথম থেকেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী। বিশেষ করে রাহুল। কিছুদিন আগেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, এই যাত্রা শুধুমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। তাঁর কাছে এই যাত্রা ব্যক্তিগত। নিজেকে ও এই ‘সুন্দর’ দেশকে ভাল করে বুঝতে চাওয়াও তাঁর এই যাত্রায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য। শুরু থেকেই গোটা যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল। যাত্রা চলাকালীন রাহুল কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেননি। এমনকী গুজরাট ও হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও তিনি যাননি। আসলে রাহুল ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রাকেই আপাতত নিজের ধ্যান জ্ঞান করে ফেলেছেন। তাই এবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও যোগ দেননি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।