সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। কংগ্রেসে শুরু হয়েছে রাহুল জমানা। সে যুগ যে কেমন আক্রমণাত্মক হতে চলেছে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই তা বুঝিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। যে দুর্নীতি ইস্যু শাসকদলের তুরুপের তাস, সেই তাসকেই নিজের ট্রাম্প কার্ড করে নিলেন রাহুল।
[ ক্ষমা চান প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেস-পাকিস্তান বৈঠক বিতর্কে তোপ মনমোহনের ]
গত তিন চার-মাসের নির্বাচনী প্রচারে একটা কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুল। মোদির প্রবল দাপটের মধ্যেও যে তিনি চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেন, তা স্পষ্ট। আকারে ইঙ্গিতে সে কথা স্বীকারও করে নিয়েছে শাসকদল। নজিরবিহীনভাবে তাই রাহুলের প্রতি মন্তব্যকে ধরে ধরে জবাব দিতে হচ্ছে তাদের। এদিন মোদিকে তোপ দেগে রাহুল বলেন, “দুর্নীতি নিয়ে আগে মোদি অনেক কথা বলতেন। কিন্তু জয় শাহের কীর্তি সামনে আসার পর আর তাঁর মুখে ‘দুর্নীতি’ শব্দটিই শোনা যায় না।” রাফালে চুক্তি নিয়েও এদিন রাহুল তীব্র সমালোচনায় বেঁধেন শাসকদলকে। তাঁর প্রশ্ন, “গত ২২ বছরে বিজেপি কী করেছে? সেই ব্যাখ্যা দিতে পারে না।” তাঁর অভিযোগ, “মোদির উন্নয়ন পুরোটাই একতরফা। পাঁচ থেকে ছয়জন ব্যক্তি তাতে লাভবান হয়েছেন। কিন্তু বঞ্চিত হয়েছেন ৯০ শতাংশ মানুষ।” গুজরাটের উদাহরণ টেনেই তিনি বলেন, অধিকাংশ কলেজগুলিরই বেসরকারিকরণ করানো হয়েছে। এদিন মোদির সিপ্লেনে চড়া নিয়ে কটাক্ষ করেছিল কংগ্রেস। এদিন রাহুল বলেন, “এতে আপত্তির কিছু নেই। বরং তা ভালই। কিন্তু এটা আসলে রাজনৈতিকভাবে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। আসল প্রশ্নটা হল, গত ২২ বছরে বিজেপি কী করেছে?”
মণিশঙ্কর আইয়ারের বক্তব্য নিয়েই এদিন মুখ খোলেন রাহুল। বলেন, “মন্তব্যের পরই আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছি। মোদি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সম্পর্কে ওভাবে কথা বলা অনুচিত। সেইসঙ্গে মোদিও যেভাবে মনমোহন সিং সম্পর্কে কথা বলেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।” রাহুলের মন্দিরে ঘোরা নিয়েও হিন্দুত্বের তাস খেলার অভিযোগ উঠেছিল। রাহুল জবাব দিয়ে বলেন, “মন্দিরে যাওয়া দোষের কী হতে পারে? গুজরাটের মানুষের ভালর জন্যই আমি প্রার্থনা করেছি।” তিনি জানান, “গুজরাটে এসে আমি প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। এও বুঝেছি যে বিজেপির বিরুদ্ধে তলে তলে কতটা ক্ষোভের স্রোত বইছে। গুজরাটের মানুষ বুদ্ধিমান। তাঁরা বুঝতে পারছেন যে, প্রধানমন্ত্রী আর কৃষকদের নিয়ে, দুর্নীতি নিয়ে কোনও কথা বলছেন না।” এবারের গুজরাট নির্বাচনে বিজেপি যে নার্ভাস এমনটাই মনে করেন কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি। তাঁর দাবি, মোদির কাছে অনেক কিছু আছে. গোটা সরকারটাই আছে। কিন্তু তাঁর কাছে আছে সততা। আর দেশের মানুষ যে সততাকেই পছন্দ করে তাও তাঁর ভালই জানা। প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই রাহুল বুঝিয়ে দিলেন সভাপতি হিসেবে শাসকদলকে কড়া টক্করের মুখে ফেলতে পুরোপুরি তৈরি তিনি।
[ বদলাল ১৩০০ SBI শাখার নাম ও IFSC কোড, তালিকায় আপনার ব্যাঙ্ক নেই তো? ]
The post ‘জয় শাহর কীর্তি সামনে আসতেই দুর্নীতি নিয়ে নীরব মোদি’ appeared first on Sangbad Pratidin.