সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ‘হি উইল বি হেয়ার…’
স্থান – দিল্লির রামলীলা ময়দান।
কাল – শনিবার বিকেল।
পাত্র – কংগ্রেসের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা এক নেতা।
ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে প্রস্তুতির সিংহভাগ শেষ। রবি সকাল ১১টায় শুরু হবে মূল্যবৃদ্ধি, ভ্রান্ত জিএসটি(GST), বেকারত্বের প্রতিবাদে কংগ্রেসের ‘মহেঙ্গাই পে হল্লা বোল’ কর্মসূচি। যার প্রধান বক্তা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, তিনি এখন কোথায়? কখন এসে পৌঁছবেন দেশে? এই ধরনের কোনও প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর দিতে পারলেন না সিকি-আধুলি নেতা থেকে শুরু করে কর্মসমিতির সদস্য, কেউই। হীরক রাজার দেশে ছবির যন্তরমন্তর ঘর থেকে বার হওয়াদের মতো শুধু মন্ত্রের মতো হাসিমুখে সবাই আউড়ে গেলেন, “কোনও চিন্তা করবেন না। রাহুলজিই আমাদের প্রধান বক্তা। উনি থাকছেন কর্মসূচিতে।”
[আরও পড়ুন: বাদ নয় জহর! তৃণমূলের রাজ্যসভার নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন সাংসদ]
প্রধান বক্তা সম্পর্কে প্রধান প্রশ্নের উত্তর ছাড়া জোরকদমে চলছে কংগ্রেসের (Congress) প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই দিল্লি সংলগ্ন রাজ্যগুলি থেকে রাজধানীতে ভিড় করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। দেশের সব রাজ্য থেকে এসেছেন নেতারা। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ভিড় করেছেন প্রায় শ’খানেক কংগ্রেসি। সন্ধ্যায় নিজের সরকারি বাসভবনে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রদেশ সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। ঠিক হয়েছে রবিবার সকালে দিল্লির পুরনো বঙ্গ ভবন থেকে মিছিল করে রামলীলা ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কাজ করা রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা। সব মিলিয়ে শ’পাঁচেক বাঙালির মিছিল যাওয়ার কথা রামলীলা ময়দানে।
[আরও পড়ুন: রেলট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ, শনি-রবিতে শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখায় বাতিল বেশ কিছু লোকাল ট্রেন]
শনিবার বিকেলে শেষ তুলির টান দেখতে সভাস্থলে যান কংগ্রেসের অন্যতম তিন সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, অজয় মাকেন, শক্তি সিং গোহিলরা। ছিলেন সাংসদ তথা প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ, দিল্লি প্রদেশ সভাপতি অনীল চৌধুরিরা। বেণুগোপালের দাবি, “লক্ষাধিক মানুষ রবিবার যোগ দেবেন আমাদের কর্মসূচিতে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। রবিবার থেকে শুরু হবে কেন্দ্রের অন্যায়ের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ।”