সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) কোভিড (COVID-19) আক্রান্ত। তিনি রয়েছেন হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে সোমবার পর্যন্ত সময় দেওয়ার জন্য আরজি জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইতিমধ্যেই ৩০ ঘণ্টা জেরার মুখে পড়তে হয়েছে রাহুলকে। বৃহস্পতিবার ইডির কাছে একটি দিনের বিরতি চেয়ে নিয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। শুক্রবার ফের তাঁর কেন্দ্রীয় সংস্থার মুখোমুখি হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে আরও কয়েক দিনের বিরতির আবেদন রাহুলের।
দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তাঁকেও ২৩ জুন হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার সারাদিনই রাহুল ও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা মায়ের কাছেই ছিলেন বলে জানাচ্ছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র। এদিকে এদিন দেশজুড়ে রাজভবন ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। বিভিন্ন জায়গাতেই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: SLST চাকরি প্রার্থীদের অনশন মঞ্চে পুলিশি হানা, আন্দোলনকারীদের টেনেহিঁচড়ে তোলা হল গাড়িতে]
সূত্রের দাবি, ইডি (ED) কর্তারা কংগ্রেস নেতাকে বৃহস্পতিবারই তলব করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেই একদিনের বিরতি চাওয়ায় তা মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, প্রতিদিন এত দীর্ঘ সময় ধরে কেন রাহুলকে থাকতে হচ্ছে ইডির দপ্তরে? নাম জানাতে অনিচ্ছুক ইডির এক কর্তা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত তিনদিন ধরে রাহুল গান্ধীর জেরার অডিও এবং ভিডিও রেকর্ডিং করা হচ্ছে। তারপর তাঁর বয়ান লেখা হচ্ছে। সেই লিখিত বয়ানে স্বাক্ষর করিয়ে তারপর তাঁকে ‘ছুটি’ দেওয়া হচ্ছে। সেকারণেই জেরার প্রক্রিয়া এতটা দীর্ঘ হচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস সাংসদরা দেখা করেছেন লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে। অভিযোগ জানিয়েছেন, দলের প্রাক্তন সভাপতিকে ইডির তলবের প্রতিবাদ দেখানোর সময় তাঁদের সঙ্গে হওয়া নির্যাতনের। পাশাপাশি রাজ নিবাস মার্গে লেফটেন্যান্ট গভর্নরেরর বাড়ির বাইরেও বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। পরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেখা করেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর কাছে অভিযোগ জানান হাত কর্মীদের উপরে হওয়া পুলিশ হামলা প্রসঙ্গে।