সুব্রত বিশ্বাস: আগামী ১০ দিনের মধ্যে পূর্ব রেলের (Eastern Railway) সব ক’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হয়ে যাবে। লকডাউনের আগে যে সমস্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলতো তার সবক’টি আগের নির্ধারিত সময়েই চলবে। এমনটাই জানানো হয়েছেন পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে।
পূর্ব রেল জানিয়েছে, তাদের সব প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে চালানোর অনুমতি দিয়ে দিয়েছে রেল বোর্ড (Railway Board)। এক সঙ্গে সব ক’টি চালু করা সম্ভব না হলেও আগামী ১০ দিনের মধ্যে সব প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হয়ে যাবে। দক্ষিণ–পূর্ব রেলের সিপিটিএম জানিয়েছেন, তাদের আওতায় ১০০ শতাংশ প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র এখনও মেলেনি। পূর্ব রেলের অপারেশন বিভাগ জানিয়েছে, হাওড়া, শিয়ালদহ (Sealdah), আসানসোল ও মালদহ ডিভিশনে ৩০০টির মতো প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলে। যার মধ্যে এখন ১৩০টি ট্রেন চলছে বিভিন্ন শাখায়। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আরও ১৭০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন ধাপে ধাপে চালু করা হবে। যে শাখাগুলিতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে তা হল, শিয়ালদহ–লালগোলা, আসানসোল–বর্ধমান, আসানসোল–সাঁইথিয়া, আসানসোল–যোশিডি, বর্ধমান–রামপুরহাট, রামপুরহাট–বারহারোয়া, আজিমগঞ্জ–কাটোয়া, আজিমগঞ্জ–বারহারোয়া, নবদ্বীপ–মালদহ, বর্ধমান–সাহেবগঞ্জ, সাহেবগঞ্জ–তিনপাহাড় ইত্যাদি।
[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে কংগ্রেসেই ফিরতে হবে জ্যোতিরাদিত্যকে’, কটাক্ষ রাহুলের]
উল্লেখ্য, করোনা (Corona Virus) কালে প্রায় ১ বছর আগে লকডাউনের শুরুতেই বন্ধ হয়েছিল ট্রেন চলাচল। দীর্ঘ দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে সাধারণ যাত্রীদের জন্য কোনও ট্রেন চলেনি। এরপর শ্রমিক ট্রেন চালানো শুরু হয় ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে। তার কয়েকমাস বাদে স্পেশ্যালের তকমা জুড়ে চলা শুরু হয় মেল এক্সপ্রেসের। বহু আন্দোলনের পর ১১ নভেম্বর থেকে চলতে শুরু করে লোকাল ট্রেনের চাকা। এরপর ধীর গতিতে ক্রমান্বয়ে শুরু হয় প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল। খুব অল্প সংখ্যক প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলায় আন্দোলন করেন বিভিন্ন জেলার মানুষজন। এতদিন মাত্র ৪৫ শতাংশ প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলছিল। এবার ১০০ শতাংশ প্যাসেঞ্জার চালানোর ছাড়পত্র দিয়ে দিল রেল বোর্ড।