স্টাফ রিপোর্টার: দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হলেও কোভিডের (COVID-19) আগের পরিস্থিতির মতোই সংরক্ষিত টিকিট বুকিংয়ের সময়ে গন্তব্যস্থানের ঠিকানা দেওয়ার নিয়ম চালু থাকায় সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। নিউ নর্মালে তা নিয়ে ক্ষোভও দেখা দিয়েছে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে।
পূর্ব রেলের কমার্শিয়াল বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংরক্ষিত টিকিট করতে গেলে রিকুইজিশন স্লিপে নির্ধারিত জায়গায় গন্তব্যের ঠিকানায় এলাকা, গ্রাম ও সিটির নাম, পোস্ট অফিস, জেলা সঙ্গে পিন কোড নম্বর দিতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিবরণ না দিলে টিকিট সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আচমকা কাউকে কোনও গন্তব্যে যেতে হলে সেখানকার ঠিকানা জানা নাও থাকতে পারে। এমনকী, বহু যাত্রী কোনও নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার পর হোটেল নির্ধারণ করেন, সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই সরেজমিনে হোটেল দেখে তারপর ‘বুক’ করার সিদ্ধান্ত নেন সেই যাত্রী। তাই আগাম হোটেলের ঠিকানা বলাও সম্ভব নয়। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, অহেতুক যাত্রা বন্ধ করতে এই ব্যবস্থা এখনও জারি রয়েছে। তবে স্টেশন এলাকার ঠিকানা ও পিন লিখে যাত্রার সুযোগ পেতে পারেন যাত্রীরা।
[আরও পড়ুন: সব্যসাচী দত্তের বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় হাজির বিজেপি নেত্রী অঞ্জনা বসু, তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা]
এদিকে, রিজার্ভেশন কাউন্টারে টিকিট বুকিংয়ের জন্য আসা যাত্রীদের কথায়, করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে রেল (Indian Railways) যখন এই নিয়ম চালু করেছিল, তখন অল্প কিছু ট্রেন চলছিল। সংক্রমণের ভয়ে কেউ যাত্রা করছিলেন না। এখন সেই কড়াকড়ি প্রায় উঠে গিয়েছে। প্রায় সব ট্রেন চলছে। এই প্রেক্ষিতে বহু মানুষ নানা কাজে যাচ্ছেন। কাজের জায়গায় বা আত্মীয় বাড়ি কিংবা হোটেল বুক করা থাকলে নির্ধারিত ঠিকানা জানানো সম্ভব। কিন্তু যাঁরা কাজে যাচ্ছেন অথচ নির্ধারিত জায়গা জানা নেই তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
যদিও রেলের পিআরএস সূত্রে বলা হয়েছে, এক বগির কুপে বা সিটিং ব্যবস্থার আশপাশে ১০-১২ জন যাত্রী একসঙ্গে যাঁরা যাত্রা করেন, তাঁদের মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে অন্যদের হদিশ পাওয়া যাবে। তাঁদের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো বা সতর্ক করা যাবে। তাই এখনও এই প্রক্রিয়া চলছে।