সুব্রত বিশ্বাস: এবার বিমা পরিষেবা বন্ধ করছে রেল। ডিজিটাল ট্রানজাকশন বাড়াতে ২০১৭ সালে বিমা পরিষেবা চালু করেছিল রেল। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে দশ লক্ষ, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সাড়ে সাত লক্ষ ও মৃতদেহ বহনের খরচ ১০ হাজার টাকার বিমার ব্যবস্থা চালু করেছিল আইআরসিটিসি। এজন্য যাত্রীকে কোনওরকম খরচ দিতে হত না। এক বছর না হতেই এই ব্যবস্থা বন্ধ করছে রেল। যাত্রীবিমাকে কফিন-বন্দির পাশাপাশি পরিষেবা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে এবার চাকরি যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন হাজার-হাজার রেলকর্মী।
[স্বাধীনতা দিবসে লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন ‘অপহৃত’ বুদ্ধ]
‘ট্রেন-২০’ নামে ওয়ার্ল্ড ক্লাস সেমি হাইস্পিড ট্রেন আনতে চলেছে রেল। রাজধানী ও সম্পূর্ণ স্লিপার ক্লাসের এই দূরপাল্লার ট্রেন রূপান্তরিত হবে। ১৬০ কিলোমিটার বেগে চলবে এই ট্রেন। ১৭৬ কিলোমিটার গতির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই লাইনে নামবে এই ট্রেন-২০। অ্যালুমিনিয়ামের হাল্কা বডি, সব চাকার সঙ্গে যুক্ত থাকবে ট্রাকশন মোটর। চালকের স্টার্টে সব চাকাই সক্রিয় হবে এক সঙ্গে। ফলে চালুর সঙ্গে সঙ্গে স্পিড নেবে, ব্রেক চাপলেই দাঁড়াবেও সঙ্গে সঙ্গে। ফলে সিগন্যালের ব্রেকিং দূরত্ব কমবে। ট্রেন কোনওরকম শান্টিং-এর প্রয়োজন হবে না। এর ফলে শান্টিং মাস্টার ও শান্টিং জমাদাররা কাজ হারাবেন। বেকার হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন বহু রেলকর্মী।
পরিষেবার এই উন্নয়নে নতুন এই ট্রেনের অপারেশন ও ম্যানেজমেন্টের জন্য বিদেশি সংস্থাকে আহ্বান করে ২৭০০ কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। একটি মাত্র আগ্রহী সংস্থা ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং, টেস্ট এবং কমিশন করবে বলে জানিয়েছিল। এই চুক্তিতে রাজি হয়নি ডিপার্টমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রোমোশন। ফলে আবার টেন্ডার ডাকা হয়। যাতে ভারতীয় সংস্থাকেও ডাকা হয়েছে। বিদেশি সংস্থা সিমেন্স, অ্যালাস্টম, ট্যালগো, বোম্বার ডিয়ার, স্ট্যাডলার মতো কোম্পানিগুলি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এই কাজ করতে হলে সংস্থাগুলিকে এদেশে কারখানা খুলতে হবে। উন্নয়নের কাজ তড়িঘড়ি শেষ করা হবে। তবে এতে কর্মীরা কাজ হারাবেন এমন আশঙ্কায় ভুগছেন এখন রেলকর্মীরা।
[আফস্পা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা ৩৫০ জওয়ানের]
The post অত্যাধুনিক ট্রেন আনতে চলেছে রেল, কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন কর্মীরা appeared first on Sangbad Pratidin.