সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপি (BJP) নেতা কিরোদিলাল মীনা। জয়পুরে এক গণপ্রার্থনার সময় ৭২ বছরের মীনা তাঁর পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। মরুরাজ্যের একাধিক দপ্তরের মন্ত্রিত্ব সামলাতেন তিনি।
কিন্তু কেন হঠাৎ ইস্তফা দিলেন বর্ষীয়ান নেতা? রাজস্থানে (Rajatshan) কৃষি ও গ্রামীন উন্নয়নের মতো একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন মীনা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগে মীনাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ভোটে তাঁকে পূর্ব রাজস্থানের যে সাতটি কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটিতেও যদি বিজেপি হারে তাহলে তিনি ইস্তফা দেবেন। সেকথা স্মরণ করিয়ে এদিন তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলে আমাকে সাতটি আসন দিয়েছিলেন। আমি অনেক পরিশ্রম করেছিলাম। বলেছিলাম, দল একটা আসনে হারলেও মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াব।'' কথা রেখেছেন মীনা। একটি নয়, ওই সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে চারটিতেই হেরে গিয়েছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: ‘কমেন্ট সেকশনে নয়, হলে গিয়ে বাংলা ভাষাকে ভালোবাসুন’, নিন্দুকদের ‘তুফানি’ জবাব মিমির]
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে রাজস্থানে ২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে জয়ী হয়েছিল বিজেপি ২৪টিতে। বাকি একটি আসনে জিতেছিল গেরুয়া শিবিরের জোটসঙ্গী। সেখানে এবার বিজেপি জিতেছে মাত্র ১৪টিতে। কংগ্রেস জয়ী ৮টিতে। বাকি ৩টি আসন ইন্ডিয়া জোটের অন্য শরিকদের।
আর এই ফলাফলই চমকে দিয়েছে সকলকে। অথচ গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে কিন্তু কংগ্রেসকে দাঁড়াতেই দেয়নি বিজেপি। কিন্তু এবার সেই ফলাফলই উলটে গিয়েছে যেন। মীনার দায়িত্বে থাকা ভরতপুর, করৌলি-ঢোলপুর, দৌসা, টঙ্ক-সাওয়াই মাধোপুর কেন্দ্রে মুখ থুবড়ে পড়ে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে বিজেপিকে। এবার তাই 'কথা রাখলেন' মীনা। নেমে দাঁড়ালেন মন্ত্রীর কুরসি থেকে। বৃহস্পতিবাসরীয় সকালে এক্স হ্যান্ডলে সত্তরোর্ধ্ব নেতা লিখেছেন, 'রঘুকুল রীতি সদা চলি আই।/ প্রাণ যায়ে পর বচন না যায়ে।'