সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেবী সরস্বতীর অপমান ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন এক সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। বিতর্কিত এই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানে (Rajasthan)। মরুরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ারের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষিকা হেমলতা বাইরওয়াকে সাসপেন্ড করা হয়।
তার আগে গত বৃহস্পতিবার বারান জেলার কিষানগঞ্জে এক জনসভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ”কিছু মানুষ নিজেদের এত গুরুত্ব দেয়… তারা জিজ্ঞাসা করছে স্কুলে দেবী সরস্বতীর অবদান কী। এই এলাকায় এমন কথা যিনিই বলে থাকুন তাঁকে আমি সাসপেন্ড করব।” পরদিন, শুক্রবারই হেমলতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে বারানের শিক্ষা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হাতুড়ে ডাক্তার থেকে জমি ‘লুটেরা’ শাহজাহানের ভাই সিরাজ, ‘তৃণমূলের কেউ নন’, দাবি পার্থ-সুজিতের]
প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যাচ্ছে, বিতর্কের সূত্রপাত গত সাধারণতন্ত্র দিবস থেকে। সেদিন ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে মহাত্মা গান্ধী ও বি আর আম্বেদকরের ছবির সঙ্গে দেবী সরস্বতীর (Goddess Saraswati) ছবি রাখার দাবি করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। কিন্তু হেমলতা তাতে রাজি হননি। পরে বচসা বাড়লে তিনি নাকি দাবি করেন, স্কুল ও শিক্ষায় সরস্বতীর কোনও অবদান নেই। এর পরই দানা বাঁধে বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজস্থানের কোটায় খাজুরিতে এক স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়। অন্য একজনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে লাভ জেহাদে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।