সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারিবারিক অশান্তিতে জেরবার হয়ে গিয়েছিলেন রাজস্থানের শিক্ষক চেতনরাম দেবদা। নিত্যদিনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে তাই এক তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন চেতনরাম ও তাঁর স্ত্রী সুষমা। কিন্তু এর পরিণতি যে এমন হবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তাঁরা। তান্ত্রিককে বিশ্বাস করে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তি খোয়ালেন চেতনরাম।
জানা গিয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে কালু খান নামে এক তান্ত্রিক ও তার ছেলে আবদুল কাদিরের কাছে গিয়েছিলেন চেতনরাম ও স্ত্রী সুষমা। পারিবারিক বিবাদের কথা শোনার পরই কালু বলে সমস্ত অশান্তির মূলে সম্পত্তি। এই ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়ার পেতে গেলে সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে হবে। কিন্তু তাতে সায় দেননি চেতনরাম ও সুষমা। তার পর নানারকম ভাবে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে কালু ও আবদুল উপদেশ দেয়, যা জমিজমা রয়েছে আপাতত তাদের নামে করে দিতে পারেন চেতনরাম। সমস্যার সমাধান হলেই সেই জমি তারা ফিরিয়ে দেবে।
[আরও পড়ুন: ‘তালাক তালাক তালাক!’, তিন চিঠিরই এক বয়ান, যুবকের বিরুদ্ধে থানায় স্ত্রী]
তান্ত্রিকের এই নিদান মেনেও নেন চেতনরাম ও সুষমা। টোপ গিলে সমস্ত সম্পত্তি কালুর নামে করে দেন চেতনরাম। কিন্তু মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও আর অশান্তি থেকে মুক্তি পাননি তাঁরা। শেষে নভেম্বর মাসে কালুর কাছে গিয়ে জমির কাগজ ফেরত চান। তখনই বেঁকে বসে কালু। বলে যেহেতু এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি তাই কাগজ ফেরত নিলে পরিবারের কারও প্রাণহানি ঘটতে পারে। তার পর কেটে যায় বেশ কয়েক মাস। এর মাঝেই গত ১৭ মে বাড়ি খালি করানোর জন্য দুই ব্যক্তি আসেন চেতনরাম ও সুষমার কাছে। তখনই সবটা পরিষ্কার হয়ে যায় তাঁদের কাছে।
গোটা ঘটনা পুলিশকে জানিয়ে চেতনরাম ও সুষমার অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে বড়সড় জালিয়াতি করা হয়েছে। ভুল বুঝিয়ে সব সম্পত্তি নিজের নামে করে নেওয়ার পর কালু আর তার ছেলে ওই দুই ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। ওই দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তবে এই কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।