shono
Advertisement

গণধর্ষণের পর কিশোরীর যৌনাঙ্গে ঢোকানো হল অস্ত্র, সংকটজনক অবস্থায় ভরতি হাসপাতালে

প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয় তার।
Posted: 03:23 PM Jan 13, 2022Updated: 03:23 PM Jan 13, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানে নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া। গণধর্ষণের পর কিশোরীর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল ধারালো অস্ত্র। সংকটজনক অবস্থায় কিশোরী ভরতি হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে তার অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। এদিকে, এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এখনও কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। বৃহস্পতিবার নাবালিকার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপি প্রতিনিধিদল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা দিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন পদ্মশিবিরের নেতারা।

Advertisement

ঠিক কী হয়েছিল? কিশোরীর পরিজনদের দাবি, বছর চোদ্দর ওই কিশোরী মানসিক ভারসাম্যহীন। ভালভাবেও কথাও বলতে পারে না। মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। সন্ধে হয়ে গেলেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর সন্ধেবেলা পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানায়। সেই অনুযায়ী খোঁজখবর শুরু হয়। রাত ৯টা নাগাদ কিশোরীকে বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে তিজারা ফটকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। কিশোরীকে উদ্ধারের সময় চতুর্দিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। যৌনাঙ্গে গুরুতর আঘাতও ছিল তার।

[আরও পড়ুন: WB Civic Polls: কনটেনমেন্ট জোনের ভোটারদের জন্য সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন, কখন দেওয়া যাবে ভোট?]

তড়িঘড়ি কিশোরীকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কিশোরীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় বুধবার রাতে জয়পুরের জেকে লোন হাসপাতালে ভরতি করা হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয় তার। হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ শুক্লা জানান, কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, সে প্রমাণ স্পষ্ট। তার যৌনাঙ্গে যে গুরুতর আঘাত করা হয়েছে মিলেছে সে প্রমাণও। বর্তমানে কিশোরীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।

হাসপাতালে কিশোরীর সঙ্গে দেখা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী এবং নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। কিশোরীর পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক কী, তা এই ঘটনা প্রমাণ করল বলেই কটাক্ষ তাঁর। বিজেপি প্রতিনিধিদলও এদিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে।

গণধর্ষণ কাণ্ডে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে বলেই জানান আলোয়ারের পুলিশ সুপার তেজস্বিনী গৌতম। ১৫০টি সিসিটিভি খতিয়ে দেখে ৩-৪ জন সন্দেহভাজনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাদের জেরাও করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণ সম্পর্কে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি বলেই দাবি তদন্তকারীদের।

[আরও পড়ুন: তৃতীয় লিঙ্গের প্রমাণ চেয়ে পোশাক খুলতে বাধ্য করল পুলিশ! ত্রিপুরায় হেনস্তার শিকার ৪]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement