ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্য়ায়: দীর্ঘদিনের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অনুগামী আরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক, নেতারাও এখন গেরুয়া শিবিরের সদস্য। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার ‘বেসুরো’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় রাজ্যের শাসকদল। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুর নাগাদ দক্ষিণ কলকাতায় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতেই বৈঠকের সম্ভাবনা বনমন্ত্রীর। আলোচনা হবে একান্ত রাজীব এবং পার্থর মধ্যে। তৃতীয় কেউ থাকবেন না বলেই জানা গিয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর থেকেই তাঁকে সমর্থন জানিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন দলের আরও অনেকেই। দলের বিরুদ্ধে পরোক্ষ বক্তব্যে অসন্তোষ উগরে দিয়েছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিজের কেন্দ্র হাওড়ার ডোমজুড় এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সমর্থনে পোস্টার, হোর্ডিং দেখা যাচ্ছিল। এ নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন: স্রেফ চার্জ দিলেই কেল্লাফতে! যাত্রী পরিষেবা সচল রাখতে এখন ভরসা ই-বাস]
বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বও। গত ১৩ তারিখ দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ডেকে পাঠানো হয় রাজীবকে। সেখানে প্রশান্ত কিশোরও ছিলেন। তিনজনের একান্তে আলোচনা হয়। বৈঠক সেরে বেরিয়ে জল্পনা অবশ্য জিইয়ে রেখেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ”সমস্যা হলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত।” তবে আবারও বৈঠক-আলোচনা হতে পারে, সেই সম্ভাবনার কথাও তিনি জানিয়েছিলেন সাংবাদিকদের। তবে অন্দরের খবর, রাজীব একান্তে বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বকে। অর্থাৎ পিকে’র মধ্যস্থতা তাঁরও না-পসন্দ।
[আরও পড়ুন: প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদের জেরে রণক্ষেত্র রাজাবাজার, একজনকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা]
সূত্রের খবর, সেইমতোই সোমবার দুপুরে ফের তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে আজ তাঁর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে থাকবেন শুধুই পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বনমন্ত্রীর মানভঞ্জনে দলের এই উদ্যোগ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেদিনের বৈঠক কতটা সদর্থক ছিল, তা নিয়ে রাজীব নিজে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আজকের বৈঠকে কি বরফ পুরোপুরি গলবে? সেদিকে নজর সব পক্ষেরই। শুভেন্দু এবং অন্যান্য বেশ কয়েকজন বিধায়ককে খুইয়ে এখন বেশ সাবধানী পদক্ষেপ ফেলছে শাসকদল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক তারই লক্ষ্মণ বলে ধারণা অনেকের।