সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দরজার বাইরে দেব-দেবীর ছবি। ঘরের ভিতর থেকে ভেসে আসছে ভক্তিগীতি। এমন আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি করে নিজেকে রাম রহিমের শিষ্য বলে দাবি করেছিল প্রতারক। ধর্মের আলখাল্লা চাপিয়ে বাড়ির মধ্যে রমরমিয়ে চালানো হচ্ছিল দেহ ব্যবসা। সেই মুখোশ ধরা পড়ে গেল। বড়বাজারে মধুচক্রের পর্দাফাঁস করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে চক্রের পাণ্ডা প্রমোদ সিংহানিয়ার অবশ্য টিকি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
[রাজ্য সরকারের প্রতীক ‘বিশ্ববাংলা’, নবান্নে লোগো উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর]
নাগাড়ে স্তোত্রপাঠ, দেবদেবীর মূর্তি। এসব থাকলেও সম্প্রতি ওই এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ তৈরি হয়। তারা দেখতে পান রাত বাড়লেই ওই বড়বাজার থানার উলটোদিকের বাড়িতে ঢুকছে অচেনা তরুণ-তরুণী। চারতলা বাড়িতে কেন রোজ পুরুষ-মহিলাদের আনাগোনা? তার সন্ধানে স্থানীয়রা ওই বাড়িতে ঢোকেন। তাদের অভিযানে আপত্তিকর অবস্থায় হাতে-নাতে ধরা পড়ে কয়েকজন যুবক-যুবতী। এরপর ঘরের ভিতরে গিয়ে তাদের চক্ষু চড়কগাছ অবস্থা হয়। স্থানীয়দের দাবি তারা অন্তত ২৫টি গোপন কুঠুরির হদিশ পান। যে অস্থায়ী ঘরগুলি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে ধর্মের মোড়কে দেহ ব্যবসা চালানো হত। এমনকী ওই কুঠুরিগুলি থেকে সন্তপর্ণে পালানোর জন্য একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ মেলে। যে সুড়ঙ্গ দিয়ে নিমেষে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব। স্থানীয়দের বক্তব্য, সুড়ঙ্গ ঢাকা দেওয়ার জন্য ছিল একটি কাঠের পাটাতন। তার উপর কাপড় দেওয়া থাকত। বিপদ বুঝলে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ওটাই ছিল পথ।
[চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আচরণবিধি ভাঙার শামিল, ক্ষুব্ধ হাই কোর্ট]
স্থানীয়দের কথায় প্রমোদ সিংহানিয়া নিজেকে রাম-রহিমের শিষ্য বলে জাহির করত। বিশ্বাস তৈরি করতে প্রতিটি হাতে আংটি পরত। পাশাপাশি কসমেটিক্স ব্যবসা চালাত ওই ঠগবাজ। দেহ ব্যবসা চালাতে ভিনরাজ্য থেকে তরুণীদের আনা হত। স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক-দেড় বছর ধরে চলছিল তার কারবার। প্রায় দশ হাতে আংটি পরে নিজেকে ধার্মিক এবং প্রভাবশালী বোঝাতে চাইত। এই ব্যাপারে পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বড়বাজার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে খাস কলকাতায় রাম রহিমের শিষ্য পরিচয় দিয়ে এধরনের কারবার নিয়ে বিরক্ত এলাকার লোকজন।
The post রাম রহিমের শিষ্য পরিচয়ে মধুচক্র, বড়বাজারে পর্দাফাঁস appeared first on Sangbad Pratidin.