সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আলোচনায় রামসেতু। তবে এবার কোনও বিতর্ক নয়। ভারত যে অনেক আগে থেকেই প্রযুক্তির দিক থেকে উন্নত ছিল, তা জানাতে রামসেতুর প্রসঙ্গ টেনে আনলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। বললেন, রামসেতু প্রাচীন ভারতের প্রযুক্তিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য নিদর্শন।
খড়গপুর আইআইটির সমাবর্তন অনুষ্ঠান যোগ দিতে এসেছিলেন রমেশ পোখরিয়াল। সেখানে দেশের প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলছিলেন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী। তখনই রামসেতুর প্রসঙ্গ ওঠে। তিনি বলেন, “এটা কি অস্বীকার করার কোনও জায়গা আছে যে আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়ররা রামসেতু বানিয়েছিলেন? আমেরিকা, ব্রিটেন বা জার্মানি থেকে কেউ এসে এটা বানিয়ে দিয়ে যায়নি”। পোখরিয়ালের এমন বক্তব্যের পর প্রেক্ষাগৃহে পিন ড্রপ সাইলেন্স। কারোর মুখে টুঁ শব্দটি নেই। এমনিতেই রামসেতু বিতর্কিত ইস্যু। তার উপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভাষণ দিচ্ছেন। সম্ভবত সেই কারণেই চুপ ছিল সবাই। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আবার তা পছন্দ নয়। তিনি বোধহয় চেয়েছিলেন, শ্রোতারাও আলোচনায় অংশ নিক। তাই তিনি বলে ওঠেন, “ঠিক কি না? সত্যি তো? বলুন না। আপনারা চুপ কেন?”
[ আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে রাহুলের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রসংঘে নালিশ পাকিস্তানের! ]
এরপরই মৃদু হাততালিতে ভরে ওঠে প্রেক্ষাগৃহ। পরিস্থিতি দেখে পোখরিয়াল ফের বলেন, “আমরা যখন আমাদের দেশের প্রাচীন গর্ব নিয়ে কথা বলি, অনেকে আমাদের নিয়েই হাসাহাসি করে। আমরা গাছকে ভগবান মনে করি, গঙ্গা নদীকে মা হিসেবে মান্য করি। হিমালয় নীলকণ্ঠ শঙ্কর ভগবানের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে। এঁরাই সব দূষণ শুষে নিচ্ছেন।”
মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, যে রামসেতুর অস্তিত্ব নিয়েই দ্বন্দ্ব রয়েছে, সেখানে একজন মন্ত্রী হয়ে কী করে তিনি একথা বলেন। কিন্তু এর ব্যাখ্যাও পোখরিয়ালের কাছে তৈরি ছিল। তাঁর মতে, তিনি বলতে চেয়েছিলেন পড়ুয়ারা যাতে এগুলি নিয়ে আরও গবেষণা চালান। তাঁর কথা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পোখরিয়াল।
[ আরও পড়ুন: লস্কর টার্গেটে বারাণসী, মোদির লোকসভা কেন্দ্রে বড়সড় নাশকতার ছক জঙ্গিদের ]
The post ‘রামসেতু প্রাচীন ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নিদর্শন’, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালের appeared first on Sangbad Pratidin.